রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানা এলাকায় এক গৃহবধূকে স্বামীর সহযোগিতায় পাঁচ বন্ধু মিলে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগ থানায় মামলা করেছেন ধর্ষনের শিকার এক গৃহবধু। পর্নো সিনেমা তৈরি করতে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় স্বামীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করার পর পুলিশ একজনকে আটক করেছে। অন্যদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অসংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম জানান, নগরীর শিরোইল কলোনির হাজরাপুকুর এলাকায় স্বামীকে নিয়ে দেড় মাস ধরে ভাড়া বাড়িতে থাকেন ওই গৃহবধূ।গত ৭ জুলাই বেলা ১১টার দিকে জোর করে তাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান স্বামী। পরে ওই দিনরাত ৯টার দিকে আবারো কফির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয় তাকে। ফলে অচেতন হয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ।পরবর্তীতে গভীর রাতে পর্নোছবির জন্য স্বামীসহ ৫ জন মিলে ঐ গৃহবধূকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের সম্পূর্ণ ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে তারা। ধর্ষন কারিরা দীর্ঘসময় ধর্ষনের জন্য যৌন উত্তেযোগ ঔষধ সেবন করে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষন ও ধর্ষনের ভিডিও করে।ভোরের দিকে ঐ গৃহবধুর অবস্থা বেগতিক হলে তাকে বমি করানোর জন্য তেঁতুল খাওয়াচেষ্টা করে ধর্ষকরা।ঘটনাটি প্রকাশ করলে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয় তাকে। স্বামীর ভয়ে এতদিন ঘটনাটি প্রকাশ করেননি তিনি। কিন্তু ভিডিও পর্নো ছবি করে সেটি দিয়ে অব্যাহত ধর্ষন ও হুমকির কারণে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন। বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার থানায় গিয়ে ওই নারী অভিযোগ করেন।থানা কর্মকর্তা মাহাবুব আলম আরো বলেন, থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরপরই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গৃ্হবধুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত ও ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের পর তাদের নাম প্রকাশ করা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।