নিউজ ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় দেশবাসীকে সতর্ক-সাবধান করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। শুক্রবার (১২ মে) থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সচেতনতা সৃষ্টির এ প্রচারণা চালানো হচ্ছে।এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকাসহ বিভাগীয় দপ্তরে খোলা হয়েছে মনিটরিং সেল।শনিবার (১৩ মে) রাতে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর থেকে মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, চট্টগ্রাম, খুলনা, কক্সবাজার, বরিশাল, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলাসহ উপকূলবর্তী জেলাসমূহের ফায়ার স্টেশন থেকে গণসংযোগ চলছে। মাইকিংয়ের মাধ্যমে এ প্রচারণার কাজ চালানো হচ্ছে। এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকাসহ বিভাগীয় দপ্তরে খোলা হয়েছে মনিটরিং সেল। এসব মনিটরিং সেল থেকে উপকূলবর্তী এলাকার সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে ফায়ার সার্ভিস।উল্লেখ্য, গত বুধবার (১০ মে) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার সব প্রস্তুতি নেয় ফায়ার সার্ভিস।ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপকূলীয় এলাকাসমূহের ১৯ জেলার ১৪৯টি ফায়ার স্টেশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে সতর্ক ডিউটিতে রাখা হয়েছে।উপকূলবর্তী দুর্যোগ প্রবণ এলাকার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতি ফায়ার স্টেশনে ৮ জনের সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম, পাঁচজনের প্রাথমিক চিকিৎসক দল ও ৬ জনের একটি করে ওয়াটার রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব এলাকায় রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত ১০ হাজার ৬০৩ জন ভলান্টিয়ার। প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার সরঞ্জামসহ অ্যাম্বুলেন্স, জেমিনি বোট, চেইন স, হ্যান্ড স, রোটারি রেসকিউ স, স্প্রেডার, মেগাফোন, র্যামজ্যাক বা এয়ার লিফটিং ব্যাগ, ফাস্ট এইড বক্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজসহ রাস্তাঘাট যান চলাচল উপযোগী করার কাজে ফায়ার সার্ভিস নিয়োজিত থাকবে। এসব এলাকায় জীবন ও মালামাল সুরক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো কাজে দিবা-রাত্রি ২৪ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের সেবা গ্রহণ করা যাবে। যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে সেবা গ্রহণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের নিকটবর্তী ফায়ার স্টেশন, বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের হটলাইন নম্বরে (১৬১৬৩) ফোন করতে সবাইকে অনুরোধও করা হয়।