নিউজ ডেস্ক : ধারাবাহিক উন্নয়নে গত ১৪ বছরে দেশ বদলে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর, রাজউক ও গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়িত ১১টি প্রকল্প উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। দেশে গণপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই এটা করা সম্ভব হচ্ছে। আমরা জনগণের জন্য কাজ করছি। জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালে নির্বাচিত করেছে। এর একটি মাত্র কারণ, আমরা তাদের উন্নয়নে কাজ করেছি বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। কাজে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলেই দেশের মানুষের উন্নতি হয়, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা এবং সেটাই আপনারা আজকে দেখতে পাচ্ছেন।ঘোষিত রাষ্ট্রপতি-অনির্বাচিত লোক দিয়ে দেশের উন্নতি হয় না জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী; জাতির পিতার হত্যার পর যিনি সেনাপ্রধান হলেন, তিনিই একদিন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিলেন। এই ঘোষিত রাষ্ট্রপতি, অনির্বাচিত লোক দিয়ে কখনও দেশের উন্নতি হয় না, এটা প্রমাণিত সত্য। তাই ২১ বছরে উন্নয়ন হয়নি।তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পর এ দেশে ক্ষমতা বদল হয়েছে বন্দুকের নল দিয়ে। অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে, হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের যে গণতান্ত্রিক ধারা যে অব্যাহত হয়েছিল সেটা ব্যাহত হয়ে যায়। সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল এবং মার্শাল ল’ জারির করে রাষ্ট্র পরিচালনা; এটা সম্পূর্ণ সংবিধান পরিপন্থি। আর সেই ধারায় ২১ বছর সরকার পরিচালিত হয়েছে। এর ফলে মানুষের যে উন্নয়ন এবং উন্নয়নের গতি ব্যাহত হয়েছিল।দেশের ইতিহাসে চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকারে আসার পর জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করেছি। জনগণের উন্নয়ন অন্তত আমরা করতে পেরেছিলাম। বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্বাক্ষরতার হার, খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছিলাম। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা রূপকল্প ২১ ঘোষণা দিয়ে সরকার গঠন করি। আমাদের যে পরিকল্পনা সেই পরিকল্পনার মধ্য দিয়েই আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই; বাংলাদেশ ২১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে। ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ও জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আছেন বলেই দেশে উন্নয়নগুলো করা সম্ভব হয়েছে।