‘গাইবান্ধার নির্বাচনের প্রতিবেদন সিইসির টেবিলে, ব্যবস্থা পর্যালোচনার পর’

‘গাইবান্ধার নির্বাচনের প্রতিবেদন সিইসির টেবিলে, ব্যবস্থা পর্যালোচনার পর’

নিউজ ডেস্ক : বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে জমা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব। এখন কমিশন বৈঠকে প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।রোববার (৩০ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।তিনি বলেন, গাইবান্ধার তদন্ত প্রতিবেদন আজকে সিইসির কাছে দিয়েছেন ইসি সচিব। সেটা আমরা এখনো দেখিনি। সবাই বসে পর্যালোচনা সিদ্ধান্ত নেবো। রিপোর্ট পড়ার পরই বিস্তারিত বুঝতে পারবো। আমরা তো তদন্তের সময় ছিলাম না। তাই এটা নিয়ে সভা করার পর আমরা সিদ্ধান্ত জানাবো।এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, তদন্তের ভিত্তিতে অনিয়মে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। এমনকি বরখাস্ত করার কথাও তুলেছিলেন তিনি। বলেছিলে যে, কমিশন অনিয়মকারীকে বরখাস্ত করার ক্ষমতাও রাখে।গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচন সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন ৫০টি, রিটার্নিং কর্মকর্তা একটি; মোট ৫১ টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে। এরপর নির্বাচনের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বন্ধ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। পরে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথকে প্রধান করে আরও দুই যুগ্ম সচিবকে নিয়ে গঠিত ওই কমিটি ৬৮৫ জনের শুনানি করে গত ১৮ থেকে ২০ অক্টোবর। এরপর কমিটি ইসি সচিবের কাছে গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) প্রতিবেদন জমা দেয়।গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। উপ-নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি ভোটকক্ষ স্থাপন করা হয়েছিল।সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭০ হাজার ১৬০।অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া টানা ৯ মাস ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই শেষে গত ২২ জুলাই দিনগত রাত ২টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ কারণে তার আসনটি সংসদ সচিবালয় শূন্য ঘোষণা করলে নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। সংবিধান অনুযায়ী, গত ২০ অক্টোবরের মধ্যে এই উপ-নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা ছিল। তবে সংবিধান প্রদত্ত দৈব-দুর্বিপাক জনিত কারণের ক্ষমতা প্রয়োগ করে আরও ৯০ দিন নেন সিইসি।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে উদ্বগে বীরগঞ্জের সড়কগুলো দাপিয়ে বড়োচ্ছে কিশোর চালকরা

সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা উদ্বোধন