নিউজ ডেস্ক : বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি।বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রতিবেদনটি নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবের কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির প্রধান সংস্থাটির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত জানাবো। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন তা-ই নেওয়া হবে।গত সোমবার প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনদিন সময় বাড়িয়েছিল ইসি।গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচন সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন ৫০টি, রিটার্নিং কর্মকর্তা একটি; মোট ৫১টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে। পরবর্তীতে নির্বাচনের যৌক্তিকতা না থাকায় পুরো নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বন্ধ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এরপর ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথকে প্রধান করে আরও দুই যুগ্ম সচিবকে নিয়ে গঠিত ওই কমিটি ৬৮৫ জনের শুনানি করে গত ১৮ থেকে ২০ অক্টোবর। গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। উপ-নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ৯৫২টি ভোটকক্ষ স্থাপন করা হয়েছিল। সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন। অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া টানা নয় মাস ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই শেষে গত ২২ জুলাই দিনগত রাত ২টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ কারণে তার আসনটি সংসদ সচিবালয় শূন্য ঘোষণা করলে নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এই উপ-নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে সংবিধান প্রদত্ত দৈব-দুর্বিপাক জনিত কারণের ক্ষমতা প্রয়োগে আরও ৯০ দিন নেন সিইসি।