নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে এবং এ সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডি সাক্ষাৎ করেন।এ সময় শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।সন্ধ্যায় হোটেল লোটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও ফিলিপো গ্র্যান্ডির সাক্ষাতে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও ভাষানচরে আশ্রিত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ইউএনএইচসিআর-এর বর্তমান কার্যক্রমগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন ও এ সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর আরও জোরদার ভূমিকা পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিশেষ করে তিনি মিয়ানমারে ইউএনএইচসিআর-এর কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর জোর দেন। এর প্রত্যুত্তরে হাইকমিশনার বলেন যে, তিনি শিগগিরই মিয়ানমার সফর করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করা সম্ভব বলে প্রধানমন্ত্রী তার মতামত পুনর্ব্যক্ত করেন। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন।পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর করিম এ এ খান।মোমেন বলেন, এ সময় বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মধ্যে সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের পক্ষে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে চলমান সব প্রচেষ্টার প্রতি বাংলাদেশের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটরকে আশ্বস্ত করেছেন। আইসিসি প্রসিকিউটর করিম খান আগামী বছরের শুরুতে পুনরায় বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।