লিওলেন মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত আলোয় আসার পর থেকেই তার পরবর্তী ঠিকানা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গেছে। সম্ভাব্য নতুন ঠিকানার মধ্যে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে ইন্টার মিলান, ম্যানচেস্টার সিটি ও পিএসজির নাম।
কিন্তু বাকি দুই ক্লাবের কথা নিশ্চিত না হওয়া গেলেও অন্তত পিএসজি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে কিনছে না। এমনটাই দাবি করেছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’।
‘মার্কা’র অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মেসির জন্য এই মৌসুমে কোনো প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পনা করছে না পিএসজি। নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো দুই মহাতারকাকে কিনতে যে বিশাল অঙ্কের অর্থ খরচ হয়েছে, তেমন কিছু এখন করার চিন্তা করছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। বরং ব্রাজিলিয়ান ও ফরাসি দুই ফরোয়ার্ডকে ঘিরেই সামনের মৌসুমের সব পরিকল্পনা করছে পিএসজির কাতারি মালিকপক্ষ।
এই গ্রীষ্মে নেইমার ও এমবাপ্পের শক্তি বাড়ানোর দিকে সব মনোযোগ দিচ্ছে পিএসজি। ফলে চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের ফাইনালিস্টরা রাইট-ব্যাক, সেন্টার-ব্যাক, একজন মিডফিল্ডার এবং প্রয়োজনে একজন ব্যাক-আপ ফরোয়ার্ড কেনার চিন্তাভাবনা করছে। এজন্য খুব বেশি অর্থ খরচ করবে না তারা। বরং গত মৌসুমে আন্দের হেরেরাকে যেভাবে কেনা হয়েছিল সেভাবেই স্বল্প ব্যয়ে ভালো খেলোয়াড় কিনতে চায় প্যারিসের ক্লাবটি।
এদিনসন কাভানি ও থিয়াগো সিলভা বিদায় নেওয়ায় এবার মোটা অঙ্কের বেতন পরিশোধের চাপ থেকে কিছুটা মুক্তি পাবে পিএসজি। এতে উয়েফার আর্থিক নীতিমালাও মেনে চলা সহজ হবে তাদের জন্য। তবে বেঁচে যাওয়া অর্থ কিছুতেই বড় কোনো তারকা ফুটবলারকে কেনার পেছনে ঢালবে না তারা। কারণ করোনা মহামারির কারণে বাকি ক্লাবগুলোর মতোই পিএসজিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এমবাপ্পে, মেসি, নেইমার, আনহেল দি মারিয়া এবং মাউরো ইকার্দিকে নিজে রক্ষণভাগ সাজাবেন টমাস টুখেল, এখন গুঞ্জনের আপাতত সমাপ্তি ঘটল। এর পেছনে মূল কারণ মেসিকে কিনতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে উয়েফার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করতে চায় না পিএসজি। নেইমার হয়তো সাবেক বার্সা সতীর্থ ও প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে ফের খেলতে মুখিয়ে আছেন, কিন্তু তিনিও ভালো করেই জানেন, প্যারিসে একসঙ্গে খেলার স্বপ্ন বাস্তব হওয়ার নয়। নেইমারের পক্ষে মেসিকে প্যারিসে আনার দাবি জানানোও সম্ভব নয়। হয়তো সম্ভব হতো যদি পিএসজিকে তিনি ইউরোপা সেরা বানাতে পারতেন।
তবে মেসিকে না কিনলেও তার সতীর্থ লুইস সুয়ারেসকে কেনার চেষ্টা করছে পিএসজি। কারণ বার্সার নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যান দায়িত্ব নিয়েই উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারকে বাইরের দরজা দেখিয়ে দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে একজন বাড়তি স্ট্রাইকার বা ফরোয়ার্ড কেনার যে ইচ্ছা পিএসজির তা হয়তো বাস্তবে রূপ পেতে পারে। এর এমনটা হলে মেসিকে সতীর্থ হিসেবে না পেলেও আরেক বন্ধু সুয়ারেসকে অন্তত ফের একবার সতীর্থ হিসেবে পাবেন নেইমার।