নিউজ ডেস্ক : রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর নিরাপত্তাহীনতার কারণে কানাডা পাড়ি জমিয়েছে হত্যাকাণ্ডের শিকার রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারের ১১ সদস্য।বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাতে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।এই দলে মুহিবুল্লাহর স্ত্রী নাসিমা খাতুন, তার ৯ ছেলে-মেয়ে, মেয়ে জামাইসহ ১১ জন রয়েছেন।যদিও এর আগে গত বছরের শেষের দিকে মুহিবুল্লাহর পরিবার ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কিছু সদস্যসহ মোট ১১ পরিবারের সদস্য জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার ছাড়া তৃতীয় কোনো দেশে বসতি স্থাপন করার জন্য শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার এবং যুক্তরাষ্ট্রে আবেদন করা করে।আবেদনে তারা যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া বা কানাডা নাম উল্লেখ করেন।এর আগে মুহিবুল্লাহর পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার রাতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় বাংলাদেশ ছাড়েন।প্রসঙ্গত ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর উখিয়া কুতুপাং শিবিরে নিজ কার্যালয়ে গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ। হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর থেকে তার ছোটভাই হাবিব উল্লাহ, স্ত্রী নাসিমা খাতুনসহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজনদের মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এরপর থেকে তাদের ক্যাম্প থেকে সরিয়ে উখিয়া ট্রানজিট পয়েন্টে কঠোর নিরাপত্তায় রাখা হয়।তবে এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) বক্তব্য পাওয়া যায়নি।