দশে নেমে ৬২ বলে সেঞ্চুরির ইতিহাস প্রোটিয়া পেসারের

দশে নেমে ৬২ বলে সেঞ্চুরির ইতিহাস প্রোটিয়া পেসারের

১০ নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে মার্শান্ট ডি ল্যাঙ্গে নামের এক প্রোটিয়া পেসার প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালালেন। মাত্র ৬২ বলে ছুঁলেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। এটাই কাউন্টির রেকর্ড

বব উইলিস ট্রফিতে নর্থ্যাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে ম্যাচের চতুর্থ দিনে দলের দ্বিতীয় ইনিংসে ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরিটির দেখা পেয়েছেন ডি ল্যাঙ্গে। প্রথম ইনিংসে ৭৩ রানে পিছিয়ে থাকা গ্ল্যামারগন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬০ রানেই হারিয়ে ফেলে ৮ উইকেট। এরপরই ডি ল্যাঙ্গের ওই তাণ্ডব। ড্যান ডাউথওয়েটকে নিয়ে তিনি নবম উইকেট জুটিতে গড়েন ১১৮ বলে ১৬৮ রানের জুটি।

ডি ল্যাঙ্গের ঝড়ো সেঞ্চুরিটি ৯টি ছক্কা ও ৬টি চারে সাজানো। তার সঙ্গী ডথওয়েট নিজের কাউন্টি সেরা ৮৬ রানের ইনিংস উপহার দেন। শেষ পর্যন্ত ডি ল্যাঙ্গে আউট হন ৭৮ বলে ১১৩ রান করে। গ্ল্যামারগনের হয়ে দশে নেমে এটাই সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত গ্ল্যামরগনের ইনিংস ২৬১ রানে শেষ হয়। জবাবে ৬২ রানে ১ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে নর্থ্যাম্পটনশায়ার।

এর আগে গত ২২ আগস্ট শুরু হওয়া চার দিনের এই ম্যাচটিতে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা গ্ল্যামরগন প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রান করে। সেই ইনিংসে অবশ্য ডি ল্যাঙ্গে ব্যক্তিগত শূন্য রানে আউট হন। পরে নর্থ্যাম্পটনশায়ার নিজেদের প্রথম ইনিংসে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৩২ রান সংগ্রহ করে। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) ম্যাচের শেষ দিন জয়ের জন্য নর্থ্যাম্পটনশায়াকে আরও ১২৭ রান করতে হবে। হাতে রয়েছে ৯ উইকেট। যেখানে ১৮৯ রানের টার্গেট দিতে পেরেছিল গ্ল্যামরগন।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, ঝড়ো সেঞ্চুরি হাঁকানোর আগে ৮৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ডি ল্যাঙ্গের ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র ১৫.৫, ফিফটি ৩টি। আগের সর্বোচ্চ ইনিংস ৯০ রানের। তবে সেবারও নয় নম্বরে নেমে ৪৫ বলে ৯০ রান করেছিলেন তিনি। ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ৮টি।

ডি ল্যাঙ্গে ক্রিকেট বিশ্বে তেমন পরিচিত কেউ নন। কিন্তু ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্ট অভিষেকেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ উইকেট নিয়ে চমকে দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর চোট, ফর্মহীনতার কারণে ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত হয়নি। ২ টেস্ট, ৪ ওয়ানডে ও ৬ টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা ঝুলিতে পুরে থেকে আছে ২৯ বছর বয়সীর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।

দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে ফেরার কোনো সম্ভাবনাও আর নেই ডি ল্যাঙ্গের। তাইতো স্ত্রীর ব্রিটিশ পাসপোর্টের সুবাদে স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে কাউন্টিতে খেলে যাচ্ছেন। তবে একেবারে যে ফুরিয়ে যাননি তা তো চোখে আঙুল দিয়েই দেখিয়ে দিলেন।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

‘মানসিক অবস্থার’ জন্য আফগানিস্তান সিরিজে খেলতে চান না সাকিব

অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান শান্ত