স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, তারা যেন মলোতভ ককটেল তৈরি করে পাল্টা লড়াই শুরু করেন। সেই সঙ্গে অন্যদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাসায় থাকলেও বের হতে বারণ করা হয়েছে। যুদ্ধের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল থেকে কিয়েভে একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। কিয়েভে রাশিয়ার একটি বিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন। অপরদিকে ইউক্রেনের বড় বড় অনেক শহর এবং সেনা ঘাঁটিতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, নাশকতাকারীরা কিয়েভে প্রবেশ করেছে। রাশিয়ার হামলায় সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন। যুদ্ধ করার উপযুক্ত সবাইকে দেশের জন্য অস্ত্র হাতে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেনের সরকার। একইসঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য একটি ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভলোদামির জেলেনস্কি।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে টেলিফোন করে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে হামলার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়াকে রক্ষায় আর কোন বিকল্প ছিল না।
যদিও যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভের সময় শত শত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে মস্কোর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সেনা অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন। এর কয়েক মিনিট পরই ইউক্রেনে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে সেখানে ‘শান্তি ফেরাতে’ সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন। পুতিনের ঘোষণার পর সেখানে গোলাবর্ষণ আরও তীব্র হয়েছে।