কোভিড আবহের মধ্যেই ভারতের পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন হবে। তাই কোভিডের বিধি মেনেই নির্বাচন করানোর দিকেই জোর দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। সম্পূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া চলবে ইলেকট্রনিক ভোটার মেশিন দিয়েই। তবে, করোনা আক্রান্তদের জন্য থাকছে ব্যালটে ব্যবস্থাও। ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন ৯শ জন পর্যবেক্ষক। প্রতিটি বুথে থাকছে সিসি টিভি। থাকছে এক লাখের বেশি ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা। থাকবে নারীদের জন্য নারী পরিচালিত ভোটকেন্দ্র থাকবে। এ ধরনের ১৬শ ২০টি নারী পরিচালিত ভোটকেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাঁচ রাজ্যের ভোট গণনা হবে ১০ মার্চ।আসন্ন ওই পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলাফল ঠিক করে দেবে কে হতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ২০২৪ সালে ভারতে লোকসভা নির্বাচন অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী কুরসি দখলের লড়াই। আর তার অনেকটাই ধারণা পাওয়া যায় দেশটির বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল।একুশের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে মমতার ঝরে ধরাশায়ী হয়েছিল বিজেপি। স্বমহিমায় তিনবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তার নজর প্রধানমন্ত্রীর কুরসির দিকে। ফলে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের দিকে পা বাড়িয়েছেন মমতা। কারণ তার ক্ষমতা বিস্তার করতে পারবেন ততই সুবিধা হবে প্রধানমন্ত্রীর কুরসির দিকে।তেমনি আসন্ন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে জোর দিয়েছে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মনিপুর এবং গোয়ায় আবার ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় বিজেপির। এই চার রাজ্যে বিজেপি যদি তাদের ফলাফল ধরে রাখতে পারে তাহলে অনেকটাই পাল্লা ভারি থাকছে নরেন্দ্র মোদির তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দিকে। কারণ ভারতের সিংহভাগ রাজ্য তাদের দখলেই রয়েছে। ফলে ওই ভোটে চার রাজ্যে আসন ধরে রাখতে পারলে ২০২৪ সালের ভোটের আগেই অনেকটাই অক্সিজেন পাবে মোদির দল।
নির্বাচনে শেষ কথা বলবে দেশটির জনগণ। কারণ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি হাওয়া উঠলেও রাজ্যবাসী তাদের রায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরই ভরসা রেখেছিলেন। ফলে এই পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে দেশটির রাজনৈতিক মহলসহ ভারতবাসী। আর তার অনেকটাই ধারণা পাওয়া যাবে এবারের নির্বাচনে।