শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আপনাদের আগেই বলেছি, যে কোনো সমাগমে যেতে হলে আপনারা যাবেন। বিশেষ করে সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে ১০০ জনের বেশি লোক যেতে পারবেন না। অবশ্য যেখানে খেলার বিষয় আসবে সেখানে ১০০ এর বেশি লোক যাবে না, একথা তো বলা যাবে না। কারণ এটা স্টেডিয়ামে হয়। সেখানে টিকা সনদ নিয়ে, টেস্টের সনদ নিয়ে যেতে হবে। এর বাইরে সম্ভব নয়। এটা সর্বক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সেটা বইমেলার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। এগুলোতে টিকা সনদ ও করোনা টেস্টের সনদ দেখিয়ে ঢুকতে হবে। ’তিনি বলেন, ‘সংক্রমনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে বিধায় বইমেলা দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটা ১৫-ই ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে। সেখানেও একটি বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে বইমেলা কীভাবে পরিচালিত হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো- পৃথিবী যেভাবে চলছে, যেভাবে বিধি-নিষেধগুলো দিচ্ছে, আমরাও তার বাইরে নই। তবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় এখনো আমরা ভালো আছি এবং এই ভালোটা আমাদের রাখতে হবে। ’
বাণিজ্য মেলা ও পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এই নির্দেশনাটা এখন থেকে আমরা শুরু করলাম। যদি মেলা বা হোটেলে যেতে হয়, যদি রেস্টুরেন্টে যেতে হয়, এই ধরনের সনদ, টিকার সনদ এবং কোভিড টেস্টের সনদ নিয়েই তাদের যেতে হবে। ‘
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলমসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনান্য কর্মকর্তারা।
এছাড়া শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদের আরোপ করা বিধিনিষেধেও একই ধরনের কথা বলা হয়েছে। এই বিধিনিষেধে বলা হয়- রাষ্ট্রীয়-সামাজিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয় সমাবেশ অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি সমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগ দেবেন তাদের অবশ্যই ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে এবং বাজার, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সবধরনের জনসমাবেশে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।