নিজস্ব প্রতিবেদক : নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিতে বঙ্গভবনে এসেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।সোমবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আওয়ামী লীগ সভাপতির নেতৃত্বে দলটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিচ্ছে। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন—সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহা. ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।গত ২০ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নিতে ৩২টি রাজনৈতিক দলকে বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়।প্রথম দিনে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করেন রাষ্ট্রপতি।সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক জোট (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, গণফোরামসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নিয়েছে।অন্যদিকে আমন্ত্রণ পাওয়া দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), এলডিপি, জেএসডি ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, মুসলিম লীগ রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেয়নি।অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে কয়েকটি দল সার্চ কমিটির মাধ্যমেই পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়ে এসেছে রাষ্ট্রপতির কাছে। সার্চ কমিটির জন্য নামের তালিকাও দিয়ে এসেছে কয়েকটি দল।প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাউন্সিল গঠন করে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগেরও প্রস্তাব এসেছে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে।এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার; সব রাজনৈতিক দলের সদস্যদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার; নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জটিলতা ও অবিশ্বাস দূর করতে আইন প্রণয়নসহ বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো।অন্যদিকে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশগ্রহণ না করা দলগুলো এ আলোচনা প্রক্রিয়াকে ‘লোক দেখানো’ বলে মন্তব্য করেছে।২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শপথ নেওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। সার্চ কমিটির মাধ্যমেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরীকে বাছাই করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।