হজরত আবদুল্লাহ বিন ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে বিপদ নাজিল হয়েছে বা এখনো নাজিল হয়নি তার জন্য দোয়া উপকারী। হে আল্লাহর বান্দারা! তোমাদের দোয়া করা জরুরি। -হাকেম
হজরত আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, সবচেয়ে দ্রুত যে দোয়া কবুল হয় তা হচ্ছে- কোনো ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দোয়া করা। ’ –আবু দাউদ ও তিরমিজি
অন্য এক হাদিসে হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, হুজুর (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোনো মুসলমান ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দোয়া করলে সে দোয়া কবুল হয়। তার মাথার কাছে নিয়োজিত ফেরেশতা আমিন বলেন এবং বলেন, তোমার জন্যও অনুরুপ হোক। ’ -মুসলিম
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিন দোয়া বিনা পর্দায় কবুল হয় এতে কোনো সন্দেহ নেই- ১. মাতা-পিতার দোয়া, ২. মজলুমের (অত্যাচারিতের) দোয়া এবং ৩. মুসাফিরের দোয়া। -আবু দাউদ ও তিরমিজি
অন্য এক হাদিসে এসেছে, হুজুর (সা.) ইরশাদ করেন, ‘দোয়া কবুলের ব্যপারে তাড়াহুড়া করলে দোয়া কবুল হয় না। -মুসলিম ও তিরমিজিঅনেক সময় আল্লাহতায়ালা দোয়াকারীর বৃহত্তর স্বার্থে দোয়া কবুলে বিলম্ব করেন। আল্লাহতায়ালা যেহেতু সর্বজ্ঞানী, তিনি জানেন যে, তার বান্দা যে বিষয়ে দোয়া করেছে তিনি তাকে বৃহত্তম আরেকটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য তা কবুল না করে পিছিয়ে দেন। হতে পারে, বান্দা তখন দোয়া নাও করতে পারে অথবা বৃহত্তম স্বার্থের কথা তার চিন্তা চেতনায় আসে নাই, কিংবা পরকালে বৃহত্তর বিপদে রক্ষা করা ও মুক্তির জন্য তার ওই দোয়াকে দুনিয়ার জন্য কবুল করা হয় না। এর পরিবর্তে পরকালে তাকে উত্তম বিনিময় প্রদান করা হবে। এ সব কারণে আল্লাহতায়ালা কোনে কোনো সময় দোয়া বিলম্বে কবুল করেন। এ জন্য দোয়াকারীর নিরাশ না হওয়া চাই।হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারিম (সা.) বলেন, ‘পাঁচ ব্যক্তির দোয়া বিশেষভাবে কবুল করা হয়- ১. মজলুমের দোয়া যতক্ষণ সে প্রতিশোধ না নেয়, ২. হজ পালনকারীর দোয়া যতক্ষণ সে ঘরে ফিরে না আসে, ৩. আল্লাহর পথে জিহাদকারীর দোয়া যতক্ষণ সে শহীদ না হয়, ৪. রুগ্ন ব্যক্তির দোয়া যতক্ষণ সে আরোগ্য লাভ না করে এবং ৫. ভাইয়ের আনুপস্থিতিতে তার জন্য ভাইয়ের দোয়া। অতপর হুজুর (সা.) বলেন, এগুলোর মধ্যে শেষের দোয়াটি অবশ্যই কবুল হয়। ’ -বায়হাকি
আরেক হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে বেশি সম্মানিত জিনিস আর কিছু নেই। -তিরমিজি ও ইবনে মাজাহজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন, আমি ঠিক সেই রকম, যে রকম বান্দা আমার ব্যপারে ধারণা করে। যখন সে আমার কাছে দোয়া করে, তখন আমি তার সাথে থাকি। -বোখারি ও মুসলিমহজরত সালমান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ চিরঞ্জীব ও সম্মানিত, কোনো বান্দা তার কাছে দু’হাত তুললে, তিনি খালি হাতে তাকে ফেরত দিতে লজ্জাবোধ করেন। -তিরমিজি ও আবু দাউদহজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেকেই যেন আল্লাহর কাছে নিজ প্রয়োজন পূরণের জন্য দোয়া করে। এমনকি জুতার ফিতা ছিঁড়ে গেলেও আল্লাহর কাছে দোয়া করবে। -তিরমিজিহজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) ইরশাদ করেন, যে আল্লাহর নিকট কিছু চায় না আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার ওপর রাগ করেন। -তিরমিজি