নিজস্ব প্রতিবেদক : সেবা দেওয়ার পাশাপাশি গবেষণায় মনোযোগ দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।রোববার (০৯ জানুয়ারি) সকালে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণকাজ উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।এ সময় তিনি বলেন, ‘যারা নামি-দামি চিকিৎসক হয়ে যান, তারা চিকিৎসা সেবা দিতেই ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু কিছুটা সময় যদি আপনারা গবেষণায় ব্যয় করেন, তাহলে আমাদের দেশের পরিবেশ, আবহাওয়া ও জলবায়ুতে মানুষের কি কি ধরনের রোগ দেখা দেয়, তার প্রতিরোধ শক্তি কিভাবে বাড়ানো যায়―সেটার ব্যবস্থা নেওয়া যায়। ’বিভাগীয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোতে ক্যান্সার ইউনিট স্থাপনের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দ্রুত ও মানসম্পন্ন কাজ যেন হয়, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। ’এছাড়া জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে যেতে সরকারের উদ্যোগের কথা জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে অন্যান্য জটিল রোগসহ ক্যান্সার চিকিৎসা সহজলভ্য করতে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে হৃদরোগ, কিডনি, ক্যান্সার রোগের সেবা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমরা চাচ্ছি শুধু রাজধানীমুখী নয়, এই সেবাটা যেন একেবারে তৃণমূল মানুষ পায় সেজন্য প্রত্যেকটা বিভাগে এটা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগ থেকে বাঁচতে সবাইকে ‘বিশেষভাবে’ সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব একটু বেশি দেখা যাচ্ছে। কিডনি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে, হার্টের রোগের (হৃদরোগ) প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে জনগণকে বলবো এসব রোগ যখন বেশি দেখা যাচ্ছে তখন স্বাস্থ্য সুরক্ষা মানা এবং কি কি স্বাস্থ্যবিধি মানলে নিজেকে সুস্থ রাখা যায় এবং খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে সব ব্যাপারে সবাইকে একটু বিশেষভাবে সচেতন হতে হবে। ’কোভিড-১৯ এর টিকা নেওয়ার পাশাপাশি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘এই অতিমারীকে যেভাবেই হোক আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। ’ এ সময় স্বাস্থ্যখাতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি এ সেক্টরে সফলতার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।