অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, আজকের বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি, অর্থনীতি, নেতৃত্বের নান্দনিকতা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে, আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এই প্রশ্নটা কেউ তুলছে না, বঙ্গবন্ধু যদি আজ বেঁচে থাকতেন বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কি তিনি সুখী হতে পারতেন? পারতেন না। দেশে গরিবের সংখ্যা অনেক কমেছে, কিন্তু আমরা কেউ সুখী নই।বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক আতিউর রহমান। এ সময় ‘বঙ্গবন্ধুর নান্দনিক নেতৃত্ব এবং মানবমুক্তির অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন তিনি।আতিউর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব বাংলাদেশকে শূন্য থেকে উন্নতির শীর্ষে (ফ্রম অ্যাসেজ টু প্রসপারিটি) নিয়ে গেছে। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু যখন দেশের হাল ধরেন তখন মাথাপিছু আয় ছিল ৯৩ মার্কিন ডলার। ১৯৭৫ সালে সেই আয় এসে ২৭৩ মার্কিন ডলারে পৌঁছায়। ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মাথাপিছু আয় একই অবস্থায় পৌঁছতে এক দশকেরও বেশি সময় লেগে যায়।সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক পবিত্র সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ রাশেদা আখতার, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) উপ-উপাচার্য নাসিম বানু প্রমুখ।অনুষ্ঠানে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মোহাম্মদ শামস-উল-আলমকে বন্ধুবন্ধু কর্নারের প্রবক্তা হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়। অনলাইন ও সশরীরে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ পাঠ করা হয়। জার্মানি, সুইডেন, কানাডা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদরা সম্মেলনে অংশ নেন।