বিনোদন ডেস্ক : ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় নায়ক মামনুন হাসান ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর মিন্টু রোডে অবস্থিত গোয়েন্দা কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি স্বীকার করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসান এবং নায়িকা মাহির ফোনালাপের সঙ্গে অভিনেতা ইমনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী যখন ফোন করেন তখন ফোন রিসিভ করেন ইমন। তারপর প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ইমন এবং মাহির কথোপকথন হয়। এই কথোপকথন ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।তিনি আরও বলেন, মাহি এই মুহূর্তে ওমরার জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। তাই প্রাথমিকভাবে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ কারণে ইমনকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকেছিলাম। উনি ফোনালাপের বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। প্রায় আধা ঘণ্টা তার সঙ্গে ডিবি কর্মকর্তাদের কথা হয়। প্রাথমিকভাবে তার কোনো ইল মোটিভ (খারাপ উদ্দেশ্য) পাওয়া যায়নি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ডিবি কার্যালয়ে ত্যাগ করেন। ডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ বলেন, মাহিয়া মাহি দেশে ফিরলে বিষয়টি নিয়ে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সরকার এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানায়, ইমন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, প্রতিমন্ত্রী ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন। মাহির সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেছেন তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বুঝতে পারেননি। এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবারের (৭ ডিসেম্বর) মধ্যে প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদকে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।উল্লেখ্য, ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মাহিকে ‘ধর্ষণের হুমকি’ দেওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তুলে আনার হুমকি দেন। তার বক্তব্যজুড়ে ছিল অশ্রাব্য অশালীন শব্দ।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।