নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে কলেজছাত্র রাজু আহম্মেদ হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৯ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর দড়িখড়বোনা এলাকার আজিজুর রহমান ওরফে রাজন, সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সাজু, মো. রিংকু ওরফে বয়া, দুর্গাপুর উপজেলার ব্রম্ভপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন ও বাগমারা উপজেলার মাদারীগঞ্জ গ্রামের মাহাবুর রশীদ ওরফে রেন্টু। মামলার মোট আসামি ১৪ জন। এর মধ্যে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নয়জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর পাঁচ আসামিকে পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।২০১০ সালের ১৫ মার্চ রাতে রাজশাহী মহানগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে কলেজ ছাত্র রাজু আহম্মেদ খুন হন। রাজু রাজশাহী জেলার দুর্গাপুরের দাওকান্দি ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। তার বাড়ি বাগমারা উপজেলার হাসনিপুর গ্রামে। রাজু মহানগরীর মন্নাফের মোড় এলাকায় এক বন্ধুর সঙ্গে মেসে থাকতেন। আসামি মাহাবুর রশীদ ওরফে রেন্টুর সঙ্গে বাগমারার একটি জমি নিয়ে রাজুর পরিবারের বিরোধ ছিল।এর জের ধরে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে মাহাবুর রশীদ রাজুকে হত্যা করেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর তিনি তার কম্পিউটার সারাতে নিউমার্কেটে আসেন। এক সময় রাজু নিউ মার্কেটের পশ্চিম প্রান্তে ‘ভাই ভাই হোটেল’-এর পেছনে এলে অজ্ঞাতপরিচয়ের দুর্বৃত্তরা তাকে ঘিরে ধরে পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত রাজুকে স্থানীয় লোকজন দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ৯ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় পরদিন ১৬ মার্চ নিহত কলেজছাত্র রাজুর বাবা এসার উদ্দিন বাদী হয়ে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৫৮ জন সাক্ষী ছিলেন। আদালত ৩১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর ১২ অক্টোবর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।