নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য মানুষের নাম কেন্দ্রে পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, টাকা খেয়ে খারাপ লোকের নাম কেন্দ্রে পাঠাবেন না।সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে প্রয়াত সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপনের স্মরণ সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করতে হবে, নিজের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকেই ক্ষমতা পেয়ে বেপরোয়া হয়ে যায়, যা মোটেই কাম্য নয়। নেতাকর্মীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না।রাজনীতিতে ভালো মানুষদের সঙ্গে রাখার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খারাপ মানুষ দিয়ে রাজনীতি করলে দল নষ্ট হয়ে যাবে। দুঃসময়ে বসন্তের কোকিলরা দলে থাকবে না, ত্যাগীরাই সুখে-দুঃখে দলের পাশে থাকবে। তাই সৎ ও ভালো মানুষদের দলে টানারও নির্দেশ দেন তিনি। ৭৫-এর পর দেশে যে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু হয়েছিল তার এখনো রেশ রয়ে গেছে উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ৭৫-এর হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত ছিল? কে নেপথ্যে ছিল? সেই ইতিহাস সবাই জানে- যা কখনো ভুলে যাবার নয়। জিয়া যেমন ৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের নায়ক ছিলেন, তেমনি ২১ আগস্টে তারেক রহমান ছিলেন মাস্টার্স মাইন্ড। ওবায়দুল কাদের দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আজও আমরা প্রতিহিংসার বৃত্ত থেকে বের হতে পারিনি। ৭৫ ও ২১ আগস্টের ঘটনা পারস্পরিক সম্পর্কের দেয়াল আরও উঁচুতে নিয়ে গেছে। জিয়াউর রহমান দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছিলেন আর বিএনপি এখনও তা অব্যাহত রেখেছে। গণতন্ত্রের যে কর্মসম্পর্ক তা নষ্ট করে দিয়েছে বিএনপি, এমনটা মনে করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, একাধিকবারের একজন প্রধানমন্ত্রীর কয়টা জন্মদিন থাকতে পারে? এটা কী প্রতিহিংসা নয়? আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনুভূতিতে খোঁচা দিতে খালেদা জিয়া এ ভুয়া জন্মদিন পালন করেন। প্রতিহিংসার রাজনীতিতে কীভাবে সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখবো। বর্তমানে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক কর্মসম্পর্কের বিষয়টি অনুপস্থিত, কিন্তু কেন? প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষের রাজনীতি পরিহার করা আমাদের এখন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। সেতুমন্ত্রী প্রয়াত হাসিবুর রহমান স্বপনকে একজন সফল রাজনীতিবিদ আখ্যায়িত করে বলেন, একজন নির্লোভ, নিরহংকার নেতা ও জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি ছিলেন স্বপন। হাসিবুর রহমান স্বপনের আত্মার শান্তি কামনা করি। শাহজাদপুর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত শোক সভায় সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মেরিনা জাহান কবিতা, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম তালুকদার, সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, ডা. আবদুল আজিজ, তানভীর ইমাম, আবদুল মমিন মণ্ডল প্রমুখ।