নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির নেতৃত্বে প্রতিক্রিয়াশীল একটি মহল দেশের অগ্রযাত্রার গতি থামিয়ে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, দেশ যখনই এগিয়ে যায় তারা চায় অস্থিতিশীল করে তুলতে।আন্দোলনের নামে জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করতে, তারা দেশকে পিছিয়ে দিতে চায়।বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজের বাসভবনে ব্রিফিংকালে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, করোনার স্থবিরতা কাটিয়ে জনজীবনে গতি ফিরতে শুরু করেছে। মানুষ ফিরে পেতে শুরু করেছে চিরচেনা কোলাহল আর চাঞ্চল্য৷ এ সময় আমাদের সবার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি।সরকার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পুরোপুরি নষ্ট করে দিচ্ছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসলে বিএনপিই মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার কোনো মূল্য দেয়নি। আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, যা মানুষের মনে আশা জাগিয়েছে। লাখ লাখ তরুণ প্রাণে স্বপ্ন জাগিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার।বিএনপির কৃতজ্ঞতাবোধ নেই উল্লেখ করে কাদের বলেন, সরকার বেগম জিয়াকে বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখেনি। বরং সাজা স্থগিত করে তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আসলে বিএনপির কৃতজ্ঞতাবোধ নেই। থাকলে তারা শেখ হাসিনার উদার্যের কাছে কৃতজ্ঞ থাকতো।তারেক রহমানকে নির্বাসিত করে রাখার অভিযোগকে বিএনপির অসংখ্য মিথ্যাচারের একটি বলে উল্লেখ করেন কাদের।বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাহস থাকলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনুন। রাজনীতি করতে হলে দেশের মাটিতেই করতে হবে। টেমস নদীর ওপার থেকে ডাক দিলে হবে না। তাতে দেশের জনগণ সাড়া দেবে না।নির্বাচনে প্রতিযোগিতা না থাকার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদারের বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের বলেন, নির্বাচনে প্রতিযোগিতার জন্য বিএনপিরও অংশগ্রহণ প্রয়োজন। কিন্তু মাহবুব তালুকদার তো নির্বাচনে বিএনপিকে আনতে পারেননি। তিনি নির্বাচনে ভোটারদের অনাগ্রহের কথা বলেন। অথচ এই করোনার মধ্যেও সম্প্রতি শেষ হওয়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল প্রায় ৬৯ শতাংশ।তিনি বলেন, মাহবুব তালুকদারের বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তা না হলে একটি দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারতেন না।