বরিশাল প্রতিনিধি : টানা বর্ষণ, নদীতে জোয়ারের পানির অস্বাভাবিকতা এবং ভাটার সময় তীব্র স্রোতের কারণে বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীর ভাঙন তীব্র রূপ ধারণ করেছে। গত দুই দিনে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের শিয়ালকাঠি ফেরিঘাটসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ভূমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের শিয়ালকাঠি ফেরিঘাট এবং সংলগ্ন এলাকার বেশ কিছু অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ফেরিঘাটে ভাঙনের ফলে গ্যাংওয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।এছাড়া ট্রলারে নদী পারাপারে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নদীর পশ্চিম পাড়ের বাইশারী, উদয়কাঠি, সৈয়দকাঠীসহ ৫ ইউনিয়নের মানুষের অন্তহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফেরিঘাটের পাশাপাশি বেশ কয়েকজনের বসতবাড়িও সম্প্রতি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে আবাদি জমিসহ বেশকিছু ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান (দোকান ঘর), মসজিদ ও বসতবাড়ি।স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল জানান, ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন শিয়ালকাঠি ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলেছে। তবে ভাঙনের তীব্রতায় তীর রক্ষা সম্ভব হয়নি। নদীর উত্তর পূর্ব দিকে একটি চরের কারণে ভাটির সময় স্রোত সরাসরি শিয়ালকাঠি ফেরিঘাট সহ আশপাশের এলাকায় আঘাত হানে। আর এ কারণে এ অংশে ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে।এদিকে পশ্চিমপার ভাঙন রোধে স্থায়ী কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি স্থানীয়দের।
আল ইমরান, বগুড়া : বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের অথার্য়নে পরিচালিত ৫৪তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০১ সালের ১৫ই জুলাই জাতীয় সংসদে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। বিভিন্ন বাধার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। ২০২৩ সালের ১০ই মে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকার এসআরও জারি করে। আইন হওয়ার ২২ বছর পর বগুড়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দীর্ঘ ২৪ বছর পর বাংলাদেশ এর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ৩ জুন, ২০২৫ ইং তারিখে ড. মো. কুদরত-ই-জাহান কে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহান রসায়ন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক। ১২টি বৃহত্তর জেলায় ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা তৎকালীন সরকার গ্রহণ করে। সেই আলোকে ২০০১ সালে বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সংসদে আইন হিসাবে পাশ করে। কিন্তু পরবর্তী সময় সরকার পরিবর্তন হইলে অনুমোদন বন্ধ হয়। ফলে আলোর মুখ দেখেনি বগুড়ায় বহুল প্রতীক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়টি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য ২০১৯ সালে আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। গত ১০ মে ২০২৩ বুধবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এতে বলা হয়,