স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনার সুপার ক্লাসিকোতে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনার স্বাক্ষী হয় বিশ্ব। ম্যাচের পাঁচ মিনিট না যেতেই ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্তারা মাঠে প্রবেশ করে খেলা পণ্ড করে দেন।ব্রাজিলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দাবি করছিলেন, কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভেঙেছে আর্জেন্টিনার চার ফুটবলার। তাই খেলাও স্থগিত করে দেয়া হয়েছে।সেই চার ফুটবলারকে এবার তাদের ক্লাবের জন্য ছেড়েই দিল আর্জেন্টিনা। অর্থাৎ তাদের ছাড়াই বলিভিয়ার বিপক্ষে শুক্রবারের (১০ সেপ্টেম্বর) ম্যাচটি খেলবে আলবিসেলেস্তেরা।ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা আর্জেন্টিনার চার ফুটবলার এমিলিয়ানো মার্টিনেস, এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া, জিওভানি লো সেলসো ও ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর ব্যাপারে আগে থেকেই কঠোর অবস্থানে ছিলো ব্রাজিল। তবু এদের মধ্য থেকে তিনজনকে নিয়েই সুপার ক্লাসিকোর একাদশ সাজান কোচ লিওনেল স্কালোনি।স্থগিত এই ম্যাচের বিষয়ে পর্যালোচনা করে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাবে ফিফা।এদিকে সুপার ক্লাসিকো স্থগিত হওয়ার পর সোমবারই অ্যাস্টন ভিলার দুই খেলোয়াড় এমিলিয়ানো মার্টিনেস ও এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়াকে ছেড়ে দিয়েছিল আর্জেন্টিনা। কেননা অ্যাস্টনের সঙ্গে এমনটাই চুক্তি হয়েছিল তাদের। সোমবার আর্জেন্টিনা ছেড়ে সরাসরি ইংল্যান্ডে যাননি মার্টিনেস ও বুয়েন্দিয়া। তাদের আগে যেতে হয়েছে ক্রোয়েশিয়ায়।এবার একই পথ ধরতে হয়েছে সেই চার ফুটবলারের বাকি দুজন জিওভানি লো সেলসো এবং ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোকে। তারাও জাতীয় দল ছেড়ে উড়াল দিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে। সেখানে সাতদিন থেকে পরে ইংল্যান্ডে নিজেদের ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারে যোগ দিতে পারবেন সেলসো ও রোমেরো।তবে মার্টিনেস ও বুয়েন্দিয়ার মতো অল্পেই হয়তো পার পাবেন না সেলসো-রোমেরো। কেননা ক্লাবের কাছ থেকে দুই ম্যাচের অনুমতি নিয়ে জাতীয় দলে এসেছিলেন অ্যাস্টন ভিলার দুই খেলোয়াড়। কিন্তু টটেনহ্যামের কাছ থেকে এসবের ধার ধারেননি সেলসো ও রোমেরো। নিজেদের ইচ্ছায়ই চলে এসেছেন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে।স্কাই স্পোর্টসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ দুই খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে টটেনহ্যাম।
আল ইমরান, বগুড়া : বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের অথার্য়নে পরিচালিত ৫৪তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০১ সালের ১৫ই জুলাই জাতীয় সংসদে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। বিভিন্ন বাধার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। ২০২৩ সালের ১০ই মে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বাস্তবায়নের জন্য সরকার এসআরও জারি করে। আইন হওয়ার ২২ বছর পর বগুড়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দীর্ঘ ২৪ বছর পর বাংলাদেশ এর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ৩ জুন, ২০২৫ ইং তারিখে ড. মো. কুদরত-ই-জাহান কে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন। প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহান রসায়ন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক। ১২টি বৃহত্তর জেলায় ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা তৎকালীন সরকার গ্রহণ করে। সেই আলোকে ২০০১ সালে বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সংসদে আইন হিসাবে পাশ করে। কিন্তু পরবর্তী সময় সরকার পরিবর্তন হইলে অনুমোদন বন্ধ হয়। ফলে আলোর মুখ দেখেনি বগুড়ায় বহুল প্রতীক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়টি। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য ২০১৯ সালে আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। গত ১০ মে ২০২৩ বুধবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এতে বলা হয়,