নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি হু-হু করে বাড়ছে। সেই সঙ্গে মাঝে কিছুটা কমলেও ফের বাড়ছে পদ্মার পানি।ফলে এই তিন নদের অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। পাউবো জানিয়েছে, একদিনে আরো একটি জেলার নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে ১১টি জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত অবস্থায় রয়েছে।ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি শুক্রবার পর্যন্ত বাড়তে পারে। একই সময়ে বাড়বে গঙ্গা-পদ্মার পানির সমতলও। তবে খোয়াই ব্যাতীত মেঘনা অববাহিকার নদ-নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে। ফলে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর এবং ফরিদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হতে পারে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বর্তমানে ছয়টি নদ-নদীর পানি ১৪টি স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ধরলার পানি কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারীতে ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি গাইবান্ধার ফুলছড়িতে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, সাঘাটায় ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, জামালপুরের বাহাদুরাবাদে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ৪২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, কাজিপুরে ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, সিরাজগঞ্জে ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়িতে ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পাবনার মথুরায় ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও মানিকগঞ্জের আরিচায় ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এছাড়া আত্রাইয়ের পানি সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ধলেশ্বরীর পানি টাঙ্গাইলের এলাসিনে ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং পদ্মার পানি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।পাউবো জানিয়েছে, বিভিন্ন নদ-নদীতে তাদের পর্যবেক্ষণাধীন ১০৯টি স্টেশনের মধ্যে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ৫১টিতে পানির সমতল বেড়েছে। কমেছে ৫৩টি স্টেশনের পানির সমতল। অপরিবর্তিত আছে পাঁচটি স্টেশনের পানির সমতল। আর ১৪টি স্টেশনের পানির সমতল বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।