আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও তুমুল লড়াই বন্ধে এবার তালেবানদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে আফগান সরকার।কাবুল সরকারের এ প্রস্তাব কাতারে অনুষ্ঠিত ‘আফগান শান্তি আলোচনা’য় দেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দেশটির সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আল-জাজিরা।তবে এ বিষয়ে কাবুল সরকার বা সশস্ত্র বিদ্রোহীগোষ্ঠী তালেবানদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।তবে এ প্রস্তাব যখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিচ্ছে, তখনও দেশটির বড় শহর লস্করগাহে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যস্ত তালেবানরা। হেলমান্দ প্রদেশের লস্করগাহ তালেবানদের কেন্দ্রস্থল। সেখানে আঞ্চলিক পুলিশ সদর দপ্তর সশস্ত্র গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে। কিছু পুলিশ কর্মকর্তা তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। অন্যরা ফিরে গেছেন নিকটবর্তী গভর্নরের কার্যালয়ে।শহরটির আইনপ্রণেতাদের একজন নাসিমা নিয়াজি। তিনি জানান, তালেবানদের হামলায় সরকারি বাহিনীর সদস্যরা নিহত ও আহত হয়েছেন। যদিও হতাহতের কোনো পরিসংখ্যান এখনো পাওয়া যায়নি।এদিকে প্রাদেশিক রাজধানী গজনীসহ এক সপ্তাহের মধ্যে দশটি শহরের দখল নিয়েছে তালেবানরা। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে গজনী প্রদেশের অবস্থান।বৃহস্পতিবার তালেবানরা প্রদেশটির রাজধানী গজনীর নিয়ন্ত্রণ নেয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে এক সরকারি বাহিনীর কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রবল সংর্ঘষের মধ্যে বৃহস্পতিবার তালেবানরা গজনী দখল করে নিয়েছে। ফলে প্রাদেশিক গভর্নরসহ সব স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তাদের সেখান থেকে কাবুলের দিকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।রয়টার্স আরও জানায়, এ নিয়ে আফগানিস্তানের মোট ভুখণ্ডের ৬৫ শতাংশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে তালেবানরা। তারা আরও ১১টি প্রাদেশিক রাজধানীর দখল নিতে পারে।অবশ্য এর আগে এক প্রতিবেদনে তালেবানদের নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দাদের মূল্যায়ন প্রকাশ করে তারা। সেখানে বলা হয়, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে কাবুল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে তালেবান।গত এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৩১ আগস্টের মধ্যে মার্কিন সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়ার ঘোষণা দেন। এরপর থেকে দেশটি নিজেদের দখলে নিতে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই শুরু করে তালেবানরা। এতে করে দেশটি মারাত্মক নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়েছে।অবশ্য বিভিন্ন অঞ্চলে দুই পক্ষের এসব লড়াইয়ের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগান বিমান বাহিনী তালেবানের লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখন বলছে, নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব এখন আফগানদেরই নিতে হবে।