নিজস্ব প্রতিবেদক : অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে আদালতের আদেশ অনুসারে মনিটরিং না করার অভিযোগে স্বাস্থ্যসচিবসহ পাঁচজনের বিষয়ে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (১১ আগস্ট) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।তিনি জানান, জিএমপি অনুসরণ না করে বরিশালের ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ ২০টি মেডিসিন কোম্পানি অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন করায় তা বন্ধে এইচআরপিবি একটি জনস্বার্থের মামলা করলে হাইকোর্ট শুনানি শেষে তা বন্ধের নির্দেশ দেন।নির্দেশনা অনুসারে ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট কর্তৃপক্ষ ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস-সহ ২০টি প্রতিষ্ঠানের অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। পরবর্তিতে রুল শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালত আংশিক রুল মঞ্জুর করে রায় দেন এবং পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে তাদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে জিএমপি অনুসরণের সক্ষমতা অর্জন করার পরে অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের অনুমতি দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। রায়ে বিবাদীদের রেগুলার মনিটরিং করার জন্য বলা হয়েছে।মনজিল মোরসেদ জানান, আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বরিশালের ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস অবৈধভাবে অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন ও বিক্রি করছে এমন খবর মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দয়ের করা হয়।শুনানি শেষে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন এবং রায় অমান্য করায় কেন আদালত অবমাননার কার্যক্রম শুরু (প্রসিডিংস ড্র) করা হবে না চার সপ্তাহের মধ্যে তা জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।স্বাস্থ্যসচিব ছাড়া বাকি বিবাদীরা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষের ডিজি, ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডিজি এবং ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের এমডি।