দেশ-বিদেশে শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রশংসা হলে বিএনপি কষ্ট পায়

দেশ-বিদেশে শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রশংসা হলে বিএনপি কষ্ট পায়
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশ-বিদেশে যখন শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রশংসা করা হয় তখন বিএনপি কষ্ট পায় বলে মন্তব্য বরেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।তিনি বলেন, সত্য লুকানো আর অসত্যের সঙ্গে সখ্যতা বিএনপির পুরনো অভ্যাস।বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন।বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচক দেখুন, প্রতিটি সূচকে শেখ হাসিনা সরকারের অর্জনের ফলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। এটা বাংলাদেশ সরকারের কোনো বানানো সূচক নয়, এটা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থার তৈরি সূচক।বিদেশি বিনিয়োগের ইতিবাচক পরিবেশ বাংলাদেশে বিরাজ করছে উল্লেখ করে বলেন, আপনারা আন্দোলনের নামে আগুন-সন্ত্রাস আর জনগণের সম্পদ ধ্বংসের রাজনীতি পরিত্যাগ করুন, তাহলেই বিনিয়োগকারীরা আরো উৎসাহী ও আস্থাশীল হবে। বিশ্ব অর্থনীতি যখন করোনা অভিঘাত মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন নতুন করে বেড়েছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী, উন্নয়ন উৎপাদনে গতি হয়েছে মন্থর।‘এমন প্রতিকূলতার মধ্যেও শেখ হাসিনা সরকার দক্ষতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে মানুষের জীবনের সুরক্ষার পাশাপাশি জীবিকার চাকা সচল রাখতে। অর্থনীতির গতিপ্রবাহ ধরে রেখে প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা বজায় রাখার মতো চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ অতিক্রম করেছে। ’তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) ততটুকুই বলেন যতটুকু টেমস নদীর ওপার থেকে তাদের কাছে ফরমায়েশ আকারে ভেসে আসে। রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ থাকবে। তাই বলে সাদাকে সাদা বলা যাবে না এমনটি নয়। রাজনীতির মাঠে বিএনপিকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি কিন্তু বিএনপি আওয়ামী লীগকে শত্রুজ্ঞান করে। দেশের রাজনীতিতে ওয়ার্কিং আন্ডারস্ট্যান্ডিং বিএনপিই নষ্ট করেছে।‘বিএনপি নেতাদের কথাবার্তা শুনে মনে হয় যেন সার্কাসের ক্লাউনরা বক্তব্য রাখছে। তাদের এই নেতিবাচক ধারা ও সার্কাসের ক্লাউনের ভূমিকা পালন থেকে কবে ফিরে আসবে, তা জানতে চাই?’এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ডসভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।তিনি বলেন, নানান অনিশ্চয়তার দোলাচলে আর চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে এগিয়ে চলছে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ। ইতোমধ্যেই ৪১টি স্প্যানের সবক’টি সফলভাবে স্থাপন করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত মূল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতকরা প্রায় ৯৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। নদী শাসন কাজের অগ্রগতি ৮৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৬ শতাংশ। আশা করছি ২০২২ সালের জুন মাস নাগাদ পদ্মাসেতু নির্মাণ শেষে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।চট্টগ্রাম কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণকাজের এ পর্যন্ত অগ্রগতি শতকরা ৭০ শতাংশ বলে জানান মন্ত্রী।বোর্ড সভায় ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সিনিয়র সচিবরা।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

মাদকের টাকার জন্য মা’কে হত্যা: নিজেই পুলিশের হাতে ধরা দিলেন ছেলে

জোরপূর্বক পদত্যাগের পর স্ট্রোকে মারা গেলেন হাজেরা তজু কলেজের উপাধ্যক্ষ