আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের কয়েকটি জেলা দখলে নিয়েছে তালেবানরা। এ অবস্থায় তালেবান ঠেকাতে গণ-প্রতিরোধ বাহিনী গঠন করা হচ্ছে।এই বাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আফগান নারী সশস্ত্র অংশ নিচ্ছেন। আফগানিস্তানের উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে এসব গণ-প্রতিরোধ বাহিনী গঠন করা হচ্ছে। অন্যদিকে তালেবান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, যারা এ ধরনের বাহিনী গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছেন ‘তাদেরকে ক্ষমা করা হবে না। ’ আমঙ্কা করা হচ্ছে, আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর ক্ষমতা দখলের জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে তালেবান। আফগানিস্তানের জুযজান প্রদেশের বহু নারী নিরাপত্তা বাহিনীর সমর্থনে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন বলে দেশটির গণমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে। জুযজানের প্রাদেশিক সরকার এক বিবৃতি প্রকাশ করে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছে, এসব নারী অস্ত্র হাতে নিয়ে এই বার্তা দিতে চান যে, তারা তাদের শহরগুলোতে কোনো অবস্থায় তালেবানের অনুপ্রবেশ মেনে নিতে রাজি নন।রাজধানী কাবুলের উত্তরে অবস্থিত কুহ্দামান শহরের শত শত মানুষ এক স্থানে সমবেত হয়ে পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্র গ্রহণ করে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি নিজেদের সমর্থন ঘোষণা করেছেন। ১৯৯০-এর দশকে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় থাকার সময় তালেবান কুহ্দামানে ব্যাপক গণহত্যা চালানোর পাশাপাশি সেখানের বহু আঙ্গুরের বাগান জ্বালিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশ থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, সেখানকার সাবেক মুজাহিদ নেতা হজরত আলীর নেতৃত্বে তালেবানের বিরুদ্ধে ‘গণ-বিদ্রোহ’ ঘোষণা করা হয়েছে। সূত্র: পার্সটুডে