কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে বিপুলভাবে পরাস্ত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হওয়াটা শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, গোটা ভারতের রাজনৈতিকমহলে বড় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।ফলে পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্যগুলো বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে মমতাকেই চাইতে শুরু করেছে।সম্প্রতি এই মনোভাব দেখিয়েছে ত্রিপুরা। একই মনোভাব দেখাচ্ছে ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশও।২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে বিজেপির যোগী সরকারকে রুখতে মমতা ম্যাজিক চাইছেন সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টির প্রেসিডেন্ট ওমপ্রকাশ রাজভড়।রোববার (২০ জুন) সভাপতি ওমপ্রকাশ বলেন, এখন বিজেপিকে রোখা সবচেয়ে বড় কাজ। সেই কারণে বিজেপির বিরুদ্ধে শক্তিশালী ফ্রন্ট গড়তে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির আমআদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মহারাষ্ট্রের শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে, কাশ্মীরের মেহবুবা মুফতিকে একসঙ্গে চাইছি। একমঞ্চ বানিয়ে উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবো।এর আগে ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গেই ছিল সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি। কিন্তু পরে জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসে তাঁরা। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে উত্তরপ্রদেশের এই নেতা জানান, আগামী সপ্তাহেই দিল্লিতে কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন তিনি। তৃণমূলের সঙ্গেও তার ফোনে কথা হয়েছে।সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় স্তরে সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমানে দায়িত্ব পেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দায়িত্ব নেওয়ার পরই ভারতের অন্যান্য রাজ্যে তৃণমূলের সংগঠন বিস্তারের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সর্বভারতীয় স্তরে দলকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নিয়েছেন অভিষেক। আর উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন ভারতের জাতীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ও নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে।উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিজেপি বিরোধী নেতার ডাকে সাড়া দিয়ে সে রাজ্যে লড়াই করতে অগ্রসর হবেন কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়—এখন সেদিকেই নজর থাকবে পশ্চিমবঙ্গবাসীর।