চট্টগ্রাম: করোনাকালেও বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ২০০ মিলিয়ন ডলার এবং সুদানকে ৭ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে। দেশের রিজার্ভ এখন ৪৫ বিলিয়ন ডলার।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার (১৯ জুন) নগরের লালখান বাজার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভার্চুয়াল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নি বলেন, এই সময়ে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ ভয়ঙ্কর মাত্রায় পৌঁছে গেছে। আমাদের সীমান্ত এলাকার সমস্যা খুব প্রকট। ঢাকায়ও বিশেষজ্ঞরা আরও ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। ভারতে তৃতীয় যে ওয়েভের আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা, ইতিমধ্যে ভারতীয় মিডিয়ায় খবর এসেছে। কাজেই সামনের দিনগুলো খুব ভালো যাবে না, এটাই সত্য। এসময় আমাদের নিজেদেরও রক্ষা করতে হবে, মানুষকেও বাঁচাতে হবে।তিনি বলেন, ১২ বছর আগে পিছিয়ে পড়া এক বাংলাদেশ, আর ১২ বছরে এই বাংলাদেশ আলোর পথের দিকের যাত্রী। এই বাংলাদেশ এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশের চেহারা বদলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। যে বাংলাদেশকে আজকে সারাবিশ্ব সমীহ করে। ভাবতেই পারেন, বাংলাদেশ আজকে তিন তিনটা দেশকে ঋণ দিয়েছে। প্রত্যেকটি সূচকে আমরা আজকে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে, পাকিস্তানকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছি। কাজেই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশের তকমা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।‘কিন্তু বাংলাদেশের একটা মহল এই উন্নয়ন দেখতে পারে না। এই দলটি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। এই দলটি পূর্ণিমার ঝলমলে আলোতে অমাবস্যার অন্ধকার দেখে। এই দলটি হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’। তিনি বলেন, দেশের এই অমিত সম্ভাবনা উন্নয়ন ও অর্জন বিএনপির গাত্রদাহ, তাই তারা দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অর্জন তাদের গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।চলমান উন্নয়নকাজের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এসব উন্নয়নকাজ যখন শেষ হবে তখন বিএনপির আর কথা বলার মত কিছু থাকবে না। আমাদের কাছে তাদের আমলের এমন কোনও উন্নয়নচিত্র দিন- যেটা দেখিয়ে তারা জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারবে! নেতিবাচক রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা করে বিএনপি দিনে দিনে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে দিতে দেশটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হোক, এটাই তাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই দেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় বিএনপি। তারা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে৷ স্বাধীনতাবিরোধী, সাম্প্রদায়িক ও উন্নয়নবিরোধী সকল অপশক্তি বিএনপির নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছে। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের কাছে যেকোনও ষড়যন্ত্র ভেস্তে যেতে বাধ্য ইনশাআল্লাহ।সম্মেলন নিয়ে তিনি বলেন, নতুন নেতৃত্ব বাছাই একটি সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। এর সাথে কারো পরাজয়ের সম্পর্ক নেই, তেমনি কারো বিজয়ের উল্লাস নেই। যারা নির্বাচিত হবেন তাদের বড় দায়িত্ব বর্তায়। দেশপ্রেমিক কর্মীরাই কিন্তু দেশনেত্রী শেখ হাসিনার শক্তি, আওয়ামীলীগের শক্তি। ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে আমাদের সামনে দু’টি বড় চ্যালেঞ্জ। একটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে করোনা প্রতিরোধ করা, আরেকটি হচ্ছে উগ্র সাম্প্রদায়িকতাকে মোকাবেলা করা। এই দু’টি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে স্বেচ্ছাসেবকলীগ সুশৃঙ্খলবদ্ধ, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে এগিয়ে যাবে- এটাই আমি প্রত্যাশা করি। তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন করেছি। ফুলে ফুলে শোভিত এই রাস্তা। সবাই প্রশংসা করে এই রাস্তার। চট্টগ্রামে আমরা চার লেনের রাস্তা করেছি। আজকে চট্টগ্রামে কর্ণফুলীর বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ ৬৯ শতাংশ রয়ে গেছে। ইনশাআল্লাহ আগামি বছর কর্ণফুলী টানেল, দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র নদীর তলদেশে টানেল- এটি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।