করোনা ভাইরাসে কারণে বেশ অনেক দিন পন আগামী অক্টোবরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ।
এরই অংশ হিসেবে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন ক্রিকেটাররা।তবে দীর্ঘ পাঁচ মাসের মতো ক্রিকেটাররা পুরোপুরি ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন। আর এই জিনিসটাই টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে মানসিক চাপ আর হতাশায় রেখেছিল। বেশ কঠিন একটা সময় পার করতে হয়েছে তাকে।সোমবার (১৭ আগস্ট) মিরপুরে করোনা বিরতির পর দ্বিতীয় দিনের মতো ব্যক্তিগত অনুশীলন শেষে তামিম সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন। লকডাউনের সমইয়টাতে মানসিক চাপ আর হতাশা কেটেছে তার। তবে ক্রিকেটারদের মানসিক অবস্থা ভালো রাখার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কিছু সেশনের ব্যবস্থা করেছিল। সেটা তামিমকে মানসিকভাবে ভালো রাখতে সাহায্য করেছে।তামিম বলেন, ‘আসলে এই তিন-চার মাস অনেক কঠিন ছিল। হয়তোবা আমরা বাসায় ছিলাম, পরিবারের সাথে ছিলাম। তবে মানসিক একটা চাপের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। বাসা থেকে বের হতে পারছিলাম না। নরমালি একটা ট্যুর থেকে এসে ৭-৮ দিনের একটা ছুটি পাই। আমরা অনেক জায়গায় যেতে পারি বা কিছু করতে পারি। এই চার মাস স্বাস্থ্য ইস্যুতে চিন্তিত ছিল পরিবারের সদস্যরা। এই চার মাস অনেক কঠিন ছিল। এখন ফাইনালি যে জিনিসটা আমরা পছন্দ করি, খেলাধুলা সেটা শুরু হয়েছে। যেটা অনেক ভালো ব্যাপার।তিনি আরও বলেন, ‘এই চার মাসে বিসিবিও আমাদের কিছু সেশন ঠিক করে দিয়েছিল। মানসিকভাবে যেন আমরা ভালো অবস্থায় থাকি। ব্যক্তিগতভাবে আমিও দুই তিনটা সেশন করেছি। এসব আমাকে ভালো সাহায্য করেছে। কিন্তু যেটা বলেছি এই চার মাস কোনোভাবেই সহজ ছিল না। কিন্তু আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে এখান থেকে বের হয়ে এসে যত তাড়াতাড়ি আমরা মানসিকভাবে ভালো অবস্থায় এসে যাই। কারণ আমাদের একটা বড় ট্যুর আসছে সামনে। আর আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের ভালো সুযোগ আছে।