মালদ্বীপে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। এর ১০০ মিলিয়ন অর্থায়ন করা হবে মালের সঙ্গে তিনটি দ্বীপের সংযোগ সৃষ্টি করতে একটি সেতু নির্মাণে। আর বাকি ৪০০ মিলিয়ন ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ভারত। এছাড়া মালদ্বীপ ও ভারতে উড়োজাহাজে যাত্রার ক্ষেত্রে দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদারে উদ্যোগী হয়েছে নয়াদিল্লি। ১৩ আগস্ট ভারত এ বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহ এ সহায়তা প্যাকেজকে উল্লেখ করেন ‘ভারত-মালদ্বীপ বন্ধুত্বের ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে। ভারতের জি নিউজের খবরে বলা হয়, উড়োজাহাজে যাত্রার ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার করতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হবে। খুব সম্ভবত এরই আওতায় ১৮ আগস্টে প্রথম ফ্লাইট যাত্রা করবে।ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ শহীদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পরে উড়োজাহাজে যাত্রার ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদারের বিষয়টি ঘোষণা করা হয়। এর আওতায় চাকরি, পর্যটন, জরুরি মেডিক্যাল সেবার জন্য উভয় দেশের নাগরিকরা সহজে চলাফেরা করতে পারবেন।ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মালদ্বীপে একটি বিশাল অবকাঠামো প্রকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এরমধ্যে ১০০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করা হচ্ছে সেতু নির্মাণে। আর বাকি ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে ঋণ সহায়তা। এর মাধ্যমে নয়াদিল্লি চাইছে, দেশটিতে চীনা প্রভাব কমিয়ে মালদ্বীপের সঙ্গে বন্ধুত্ব জোরদার করতে।দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, মালদ্বীপের রাজধানী মালের সঙ্গে আশপাশের তিনটি দ্বীপের (ভিলিংগিলি, গুলহিফাহু ও থিলাফুশি দ্বীপ) সংযোগ ঘটাতে একটি সেতু নির্মাণে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হবে।
এক বিবৃতিতে মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ শহীদ বলেন, এ প্রকল্প সম্পন্ন হলে সেতুটি হবে মালদ্বীপে একক বৃহৎ অবকাঠামোগত বিনিয়োগ।ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলছে, সেতু নির্মাণ যদি সম্পন্ন হয় তবে চারটি দ্বীপের সঙ্গে সংযোগ তৈরি হবে। এতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম যেমন বাড়বে তেমনই বাড়বে কর্মসংস্থানও।এর আগে মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের আমলে দেশটিতে মালদ্বীপ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মিত হয়। চীনপন্থি হিসেবে পরিচিত প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন ২০১৮ সালের নির্বাচনে পরাজিত হলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহ ক্ষমতায় আসেন। এরপরই ভারত উদ্যোগী হয় নতুন সরকারের সঙ্গে সর্ম্পক গড়তে।