ঢাকা: জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণ ও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জরুরি বিবেচনায় চীনের সিনোফার্মের তৈরি ১৫ মিলিয়ন সার্স কোভিড টু ভ্যাকসিন সরাসরি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।যা বাংলাদেশি টাকায় এক হাজার ২৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রতি ডোজের দাম পড়বে ১০ মার্কিন ডলার বা ৮৫০ টাকা।বুধবার (২৭ মে ) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে টেবিলে উত্থাপিত এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভাশেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার।বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের একটি প্রস্তাব টেবিলে উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবটি হলো, জনস্বাস্থ্য সংরক্ষণ ও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম থেকে গণচীনের তৈরি সার্স কোভিড টু ভ্যাকসিন ভেলোসেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, আগামী জুন, জুলাই ও আগস্ট- এই তিন মাসে চীনের সিনোফার্ম প্রতিমাসে ৫ মিলিয়ন করে ৫০ লাখ ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে।তাহলে কি মোট ১৫ মিলিয়ন ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চীনের সিনোফার্ম থেকে তিন মাসে মোট ১৫ মিলিয়ন বা এক কোটি ৫০ লাখ ডোজ সরবরাহ করা হবে। মোট ভ্যাকসিনের দাম দাঁড়াবে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর বাংলাদেশি টাকায় এক হাজার ২৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রতিডোজ ভ্যাকসিনের দাম পড়বে ১০ মার্কিন ডলার।আমাদের দেশি কোনো প্রতিষ্ঠান আছে কিনা জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব বলেন, না আমাদের দেশি কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। চায়না সরকারের সঙ্গে সিনোফার্ম কোম্পানির চুক্তির মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। জুন, জুলাই ও আগস্ট এই তিন মাসে এক কোটি ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে।এদিকে গত ১১ মে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চীন থেকে ৪ থেকে ৫ কোটি ভ্যাকসিন সংগ্রহ করবো। ইতোমধ্যে আমরা তাদের কাছে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি। এছাড়া গত ১২ মে চীন থেকে উপহার হিসেবে করোনা ভাইরাসের ৫ লাখ ডোজ সিনোফার্মের ভ্যাকসিন বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত অন্য প্রস্তাবগুলো হলো- শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বিসিআইসির ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ইউরিয়া সারের যোগান অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে (১) মুনতাজাত-কাতার থেকে ৫ লাখ মে. টন, (২) সাবিক-সৌদি আরব থেকে ৫ লাখ মে. টন এবং (৩) ফার্টিগ্লোব-ইউএই থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার মে. টনসহ সর্বমোট ১২ লাখ ৮০ হাজার মে. টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।