ঢাকা: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৪৫৮ জনের।নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৯৭ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৩ জনে। মৃত ১৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ জন ও ৭ জন নারী।বুধবার (২৬ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৬ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৮৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৯টি, জিন এক্সপার্ট ৪২টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩১৫টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ৩৪২টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ৪৩৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৮ লাখ ৭১ হাজার ৩৫৩টি।এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ১১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৬ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮ জন। এছাড়া খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন করে ৪ জন রয়েছেন।এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৬ জন।মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫৩৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৪৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৩২ হাজার ৫৯৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ২০৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৩৯৩ জন।এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল সাত হাজার ২১৩ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।