বৃহস্পতিবার (১৩ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৭০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ১৯ হাজার ৬১৯ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৫৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি মিলে মোট আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৮টি, জিন এক্সপার্ট ৩৬টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ২৯৫টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৩ হাজার ৪২৪টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৪৭১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৬ লাখ ৯০ হাজার ৬৯৩টি।এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, রাজশাহী ও সিলেটে ৩ জন করে মোট ৬ জন, খুলনা, রংপুর ও ময়মনসিংহে ১ জন করে মোট ৩ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ২৩ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৬ জন ও বাড়িতে মারা গেছেন ২ জন মারা গেছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন ও ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৩৯৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫১৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ২৭ হাজার ৪৮০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৪৮৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৭ হাজার ৯৯৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।