সরকারের সুবিধাভোগী চক্রের হাতে বাজার জিম্মি: ফখরুল

সরকারের সুবিধাভোগী চক্রের হাতে বাজার জিম্মি: ফখরুল
 
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের সময় যে ধরনের লাগামহীন দুর্নীতি চলছে, মূলত তারই ধারাবাহিকতায় লুটেরা সরকারের সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী চক্রের হাতে দৈনন্দিন ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনাও জিম্মি হয়ে আছে।মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে রাজনৈতিক অচল অবস্থা দূরীকরণের বিকল্প নেই। এ সরকারের জনগণের কাছে কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তাই তারা জনগণের কল্যাণের তোয়াক্কা না করে নিদারুণভাবে নিষ্ঠুর ও নির্দয় হয়ে পড়েছে। এমতাবস্তায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপির নেতৃত্বে একটি গণতান্ত্রিক ও কল্যাণময় সরকার প্রতিষ্ঠার সামগ্রিক আন্দোলনে অংশ নিতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।তিনি বলেন, আসন্ন রমজান এবং বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে তথাকথিত লকডাউনের প্রাক্কালে সরকারের ব্যর্থতার কারণে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের জীবনযাত্রায় নাভিশ্বাস উঠেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সাধারণ মানুষ পাল্লা দিতে পারছে না। বিদ্যুতের দাম, বাসাভাড়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। নিম্নআয়ের মানুষ এক সময় খেয়ে-পড়ে ভালোই ছিল। তারা আজ প্রায় অবলুপ্ত হতে চলেছে। দ্রব্যমূল্য সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। প্রকৃতপক্ষে বাজার সিন্ডিকেটগুলো সবই আওয়ামী লীগের তথা সরকারের মদদপুষ্ট লোকজন দিয়ে পরিচালিত। বিধায় এরাই যোগসাজশ করে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে।বিএনপি মহাসচিব বলেন, কয়েকদিন আগে ৪০টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া হাইব্রিড শসা এখন ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম চাওয়া হচ্ছে ৮০ টাকা পর্যন্ত। আর দেশি শসাতো ১০০ টাকা দাম হাঁকছে। লেবু হালি প্রতি ৫০ থেকে শুরু করে ৭০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। এক সপ্তাহ আগে মূল্য ছিল ৪০ টাকা। বাজারে সোনালি মুরগির দাম কেজিতে  ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা। এক মাস আগেও যার মূল্য ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। দেশি কক মুরগি কয়েক দিন আগে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন যা ৫৫০ টাকা দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। ১ মাস আগে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। সাদা ব্রয়লার ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, এক মাস আগে যার মূল্য ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। গরুর গোশত ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকায়। অথচ এই গরুর গোশতের দাম মার্চের মাঝামাঝিতেও ছিল ৫৫০-৫৬০ টাকা।তিনি বলেন, পণ্যের দাম বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেটকারীদের এক নতুন  কারসাজি রয়েছে। নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, ১০/১২ বছর আগে রমজান এলে পণ্যের দাম বাড়তো, আর এখন রমজান আসার ১-২ মাস আগেই কৌশলে দাম বাড়ানো হয়। আবার রোজার সপ্তাহ খানেক আগে একটু কমানো হয়। পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়ানো হয় ২০ শতাংশ আর সপ্তাহ খানেক আগে  কমানো হয় ৫ শতাংশ। যাতে করে এই চক্র বলতে পারে, পণ্যের দাম তো কমেছে। এই ধরনের অপকৌশল ভোক্তাদের সঙ্গে ভয়াবহ প্রতারণার শামিল।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

ফ্যাসিবাদের কারখানা ছিল মাদারীপুর: নাছির উদ্দিন নাছির

মাদকের টাকার জন্য মা’কে হত্যা: নিজেই পুলিশের হাতে ধরা দিলেন ছেলে