রাজধানীসহ দেশের সকল শহরকে জনকল্যাণমুখী এবং জনবান্ধব করতে দেশের খ্যাতনামা নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।বৃহস্পতিবার ( ১৩ আগস্ট) ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জনকল্যাণমূলক মহানগরী বিনির্মাণে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে সময়াবদ্ধ পরিকল্পনা প্রণয়ন সংক্রান্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ আহবান জানান।সভার শুরুতেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগস্ট সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন এবং মুনাজাত পরিচালনা করেন।স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, দেশের সকল শহরগুলোকে দৃষ্টিনন্দন এবং আকর্ষণীয় করে নতুন প্রজন্মের জন্য বসবাসের উপযোগী করতে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান করার বিকল্প নেই। আর এ জন্য অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ নগর পরিকল্পনাবিদ যারা বহু দিন ধরে কাজ করছেন তাদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।তিনি মহানগরীগুলোতে নাগরিক সেবা প্রদান কাঠামোতে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা দেওয়ার জন্য নগর পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞদের আহ্বান জানান তিনি।১৯৫৯ সালে প্রথম বিশ বছর মেয়াদী মাস্টার প্ল্যানের প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রী বলেন, মাস্টার প্ল্যান সবসময় ৫০-১০০ বছর অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদি হতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত ডেল্টা প্ল্যান-১০০ কথার উল্লেখ করেন।স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, এক সময় ঢাকা শহরে পাঁচ মিলিয়ন মানুষ ছিল যা এখন বিশ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এখানে কোন সুউচ্চ ভবন ছিল না। বর্তমানে শহরে কতগুলা সুউচ্চ ভবন আছে তার কোন একাডেমিক রিপোর্ট নাই। সুতরাং মাস্টার প্ল্যান করতে হলে সুদূরপ্রসারী চিন্তা ভাবনা করে তৈরি করতে হবে।আজকের এই সভা শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না উল্লেখ করে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, সকল নগর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হবে এবং এই কমিটি নগরীর সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধানের জন্য মহা পরিকল্পনা প্রস্তুত করে তা বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করবে।ইতোমধ্যে অনেক খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন, মশক নিধন সহ বিভিন্ন সেক্টরে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এখনো অনেক সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এগুলোকে মোকাবেলা করার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ফেজ ওয়াইজ কাজ করতে হবে।সভায় উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ দেশের খ্যাতনামা নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশেষজ্ঞগণ বক্তব্য রাখেন।