বিএনপির সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি প্রত্যাহার রহস্যজনক: কাদের

বিএনপির সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি প্রত্যাহার রহস্যজনক: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের অজুহাতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপি যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল তা প্রত্যাহার করে নেয়া রহস্যজনক বলেও মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ইতিহাসের অনেক মীমাংসিত বিষয় নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়বে জেনেই বিএনপি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ‘২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মুখে মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও একাত্তরের গণহত্যা নিয়ে একটি কথাও বলেনি। এ ব্যাপারে নীরবতা হানাদার বাহিনীর পক্ষে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্যাতন নিয়েও বিএনপির মুখে কিছু শোনা যায় না। পক্ষান্তরে তারা শুধু সরকারের অন্ধ সমালোচনায় ব্যস্ত। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো প্রাইভেট কোম্পানি নয়, এখানে নিজের লোক বানিয়ে কোনো লাভ নেই। তিনি বলেন, সংগঠনের শক্তি অর্জন করা ছাড়া আমাদের আর কোনো পথ খোলা নেই। এখানে আমার লোক বানিয়ে কোনো লাভ নেই। এটা প্রাইভেট কোম্পানি নয়, এটা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার আদর্শের একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগের ভেতরে যে হাইব্রিডরা ঢুকে পড়েছে তাদের চালুন দিয়ে ঝেড়ে-মুছে বের করে দিতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের সব পথ রুদ্ধ হয়ে যাওয়াতে ক্ষয়িঞ্চু শক্তিতে পরিণত হয়েছে। তাদের ভুল রাজনীতির কারণে তারা রাজনীতির আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়ে এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রের পথ ধরে হেঁটে আবার তারা সাম্প্রদায়িকতাকে উসকানি দিচ্ছে। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে তারা আমার দেশের স্বাভাবিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে চায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ বাঙালি জাতির উন্নয়নের পথ রুদ্ধ করতে চায়। শুক্রবার বাংলাদেশের সেই ঐতিহাসিক ক্ষণ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি। তাই সব নেতাকর্মীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই। শুক্রবার প্রতিটি মসজিদে মসজিদে জুম্মাবাদ বিশেষ দোয়া হবে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামে মিলাদ-দোয়া হবে। শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া হবে। প্রত্যেক মসজিদে মসজিদে মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা শুক্রবার দোয়া অনুষ্ঠান করবেন এবং দোয়ায় শরিক হবেন। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

পবিপ্রবি র‌্যাগিংয়ে আহত পাঁচ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি

বড়াইগ্রামে নির্যাতিত আ’লীগ কর্মীর বাড়িতে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী