চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও পরিকল্পনা কমিশনের ন্যাশনাল রেসিলিয়েন্স প্রোগ্রামের (এনআরপি) উদ্যোগে এবং ইউএনডিপির সহযোগিতায় এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।  চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) খন্দকার আহসান হোসেন। অতিথি ছিলেন এনআরপির প্রকল্প পরিচালক ড. নুরুন নাহার, ইউএনডিপির প্রোগ্রাম অ্যানালিস্ট আরিফ আবদুল্লাহ খান, চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাঈনুদ্দিন (ইমন), খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমদ, চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, আমির মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া, রাইস মিলস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএম মহিউদ্দিন (মুহিম)।  উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের পরিচালক মো. জহুরুল আলম, সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর ও সাবেক পরিচালক কামাল মোস্তফা চৌধুরী প্রমুখ।স্টাডি রিপোর্ট উপস্থাপন করেন এনআরপির কনসালটেন্ট ড. রিয়াজ আক্তার মল্লিক, ড. নজরুল ইসলাম, ড. আবু তৈয়ব মো. শাহজাহান ও সুমাইয়া মামুন।  মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী চাক্তাই-খাতুনগঞ্জসহ চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সিটি করপোরেশন, সিডিএ, চিটাগাং চেম্বারসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে অভিমত দেন।এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে চাক্তাই-বদরখালীসহ বিভিন্ন খাল দখলমুক্ত করা, পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা, ময়লা আবর্জনা, বর্জ্য ফেলে খাল ভরাট প্রতিরোধ করা এবং কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিং কাজ নিয়মিত তদারকির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।  তিনি চট্টগ্রাম শহরের স্বকীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে বহির্বিশ্বে পরিচিতির লক্ষ্যে একটি লোগো তৈরির ঘোষণা দেন। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ এলাকায় কমিউনিটি হল নির্মাণ, ট্রাকচালকের বিশ্রামের জন্য ডরমিটরি, সাধারণ শ্রমিকদের জন্য গণশৌচাগার ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানান মেয়র।চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, শত শত বছর ধরে চাক্তাই খালের মাধ্যমে নৌপথে বাণিজ্য পরিচালনায় খাতুনগঞ্জ-কোরবানীগঞ্জ-চাকতাই এলাকার গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। ১৯৯১ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে ক্রমান্বয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি ও অতিবৃষ্টির ফলে এ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। তার সঙ্গে খাল, নালা-নর্দমা ভরাটের ফলে বিভিন্ন গুদাম ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জলমগ্ন হয়ে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।  এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় উদ্ভাবনে পরিকল্পনা কমিশনের এনআরপি প্রকল্প ও ইউএনডিপির উদ্যোগে পরিচালিত এ সমীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প গ্রহণ করে একনেকে পাস করার মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।  পরিকল্পনা কমিশনের খন্দকার আহসান হোসেন বলেন, দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ সরকারি বিনিয়োগের তিন গুণ যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে থাকে। সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত এই কারিগরি প্রকল্প বেসরকারি বিনিয়োগে সহায়ক হবে।  তিনি বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টের চূড়ান্ত উপসংহারে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার অনুরোধ করেন।