স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডারস’ স্বীকৃতি পেয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা।এ বছর ১১২ জন ইয়াং গ্লোবাল লিডারের তালিকা প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠান ইয়াং গ্লোবাল লিডারস ফোরাম।মূলত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৪০ বছরের কম বয়সী সফল নাগরিক, উদ্ভাবক, উদ্যোক্তা, প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষাবিদ, সামাজিক কর্মী, শিল্পী, সাংবাদিকসহ তরুণ প্রজন্মের আলোকিত কিছু মুখকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লাউস সোয়াব ২০০৪ সালে বিশ্বকে ক্রমবর্ধমান জটিল ও পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল সমস্যার মোকাবিলায় সহায়তার জন্য ইয়াং গ্লোবাল লিডারস ফোরাম তৈরি করেছিলেন। তার দৃষ্টিভঙ্গি হলো, বিশ্বে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে দৃষ্টি, সাহস এবং প্রভাব নিয়ে ব্যতিক্রমী ব্যক্তিদের একটি গতিশীল বিশ্ব সম্প্রদায় তৈরি করা।ইয়াং গ্লোবাল লিডারস ফোরামের তালিকাটি সমগ্র বিশ্বকে মোট ১৩টি অঞ্চলে ভাগ করে তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে এ বছর দক্ষিণ এশিয়া থেকে ১০ জন, আফ্রিকা থেকে ৯ জন, এশিয়ান ৯ জন, অস্ট্রেলিয়া ও ওশেনিয়া থেকে ২ জন, ক্যারিবিয়ান অঞ্চল থেকে ১ জন, ইউরেশিয়া থেকে ২ জন, ইউরোপ থেকে ২৩ জন, গ্রেটার চায়না থেকে ৯ জন, জাপান থেকে ১ জন,কোরিয়া ও উত্তর এশিয়া থেকে ৩ জন, লাতিন আমেরিকা থেকে ৯ জন, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা থেকে ১৩ জন এবং উত্তর আমেরিকা থেকে ২০ জন ইয়াং গ্লোবাল লিডারকে স্বীকৃতি দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ১০ জনের মধ্যে ৭ জন ভারতীয়, ১ জন পাকিস্তানি, ১ জন নেপালি এবং বাংলাদেশের মাশরাফি।১০০ টিরও বেশি জাতীয়তার প্রতিনিধিত্বকারী ইয়াং গ্লোবাল লিডারস প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং গোষ্ঠী থেকে আসা ৪০ বছরের কম বয়সী উল্লেখযোগ্য নেতাদের শনাক্ত ও নির্বাচন করে।মাশরাফিকে নিয়ে বর্ণনায় প্রতিষ্ঠানটি লিখেছে-মাশরাফি বিন মর্তুজা বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক। তিনি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কও ছিলেন। তিনটি বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ক্রিকেট ছাড়াও, তিনি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তার শহর নড়াইলের দারিদ্রতার জাল থেকে মানুষকে বেরিয়ে আসতে সহায়তা করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তিনি নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন চালু করেছেন, যা ছয়টি লক্ষ্য অর্জন করতে কাজ করছে- নাগরিকদের জন্য আধুনিক সুবিধাদি এবং শিক্ষা সহায়তা, নৈতিক ও মানবিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা,সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকলাপ বাড়ানো, ক্রীড়া প্রশিক্ষণ প্রদান, চিত্রা নদীকে ঘিরে একটি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনে সহায়তা করা এবং নড়াইলকে একটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং পরিবেশ বান্ধব শহরে রূপান্তরিত করা।