নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে চলছে বিশেষ মশক নিধন অভিযান। এর অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার ছয় হাজার ২২৩টি সড়ক, নর্দমা, জলাশয়, স্থাপনা পরিদর্শন করেছে সংস্থাটি। এর মধ্যে ১৬টিতে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। পঞ্চম দিনের এ অভিযানে পৃথক ৫টি মামলায় মোট ৮১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। ডিএনসিসির উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) ৭৭০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে একটিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৬০০টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ফুটপাতে অবৈধভাবে মালামাল রাখায় ৪টি মামলায় ৬১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) ৮০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৩১টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক ছিটানো হয়। মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) এক হাজার ৭৮০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১ হাজার ১৮৫টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অঞ্চলে ১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) ২১৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৮০টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) ১৫৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৭৬টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক ছিটানো হয়। হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) ১ হাজার ৩৪৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১ হাজার ১৩টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) ৬৭৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৫১৭টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক ছিটানো হয়। উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) ৭৭১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৪৬৩টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক ছিটানো হয়। ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) ৩৯০টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৩৪০টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক ছিটানো হয়। সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) ৩৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১১টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক ছিটানো হয়। শুক্রবার ব্যতীত আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন এ অভিযান চলবে।