নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশের মতো বরিশালও প্রস্তুত করোনার টিকা দেওয়ার জন্য। শহরের পাশাপাশি গ্রামের সাধারণ মানুষ, যাদের রেজিস্ট্রেশন করার সক্ষমতা নেই তাদের জন্য কেন্দ্রগুলো ছাড়াও ওয়ার্ড ভিত্তিক ব্যবস্থা করা হয়েছে।শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় দ্বিতীয় দিনের মতো করোনার টিকা প্রদানকারী ও সেচ্ছাসেবীদের উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ইতোমধ্যে বরিশালের সকল উপজেলার কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছে গেছে করোনার টিকা।বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মুনয়েম সাদ জানান, গ্রামের সাধারণ মানুষ যারা করোনার টিকার রেজিস্ট্রেশন করায় সক্ষম নয় তাদের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হবে, আবার কেউ চাইলে কেন্দ্রে এসেও রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে।গত বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বরিশাল সিটি করপোরেশনের এনেক্স ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ জানান, বরিশালে যে পরিমান ভ্যাকসিন এসেছে সেখান থেকে চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। এর আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ১০ হাজার জনের তালিকা পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া সুরক্ষা অ্যাপ ও ওয়েব সাইটের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রমও চলছে।এসময় সকল ধরণের বিভ্রান্তি দুরে রেখে করোনা মাহামারি থেকে মুক্তি পেতে স্বতস্ফুর্তভাবে টিকা নেওয়ার জন্য নাম রেজিস্ট্রেশনের আহ্বান জানান সিটি মেয়র। পাশাপাশি তিনি জানান ডা. পিযূষ কান্তি দাস প্রথম ভ্যাকসিন নিবেন।অপরদিকে সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, বরিশালের অবসরপ্রাপ্ত সকল অধ্যাপকরা (চিকিৎসক) প্রথম দিনে ভ্যাকসিন দিবেন।জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে সরকারি নির্দেশনায় বরিশালে ১৩১টি বুথে একযোগে টিকা দেওয়া শুরু হচ্ছে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি)। এর মধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশনে ১৭টির মধ্যে শেবাচিম হাসপাতালে আটটি, সদর হাসপাতালে আটটি এবং পুলিশ হাসপাতালে একটি বুথ রয়েছে।এদিকে জেলার নয় উপজেলায় ১১৪টি বুথ রয়েছে। এর মধ্যে নয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি করে মোট ২৭টি এবং ৮৭টি ইউনিয়নে একটি করে ৮৭টি বুথ থাকবে।উল্লেখ্য বরিশাল জেলায় এক লাখ ৬৮ হাজার ডোজ করোনার টিকা এসেছে। এর মধ্যে বরিশাল সিটি করপোরেশনে ২০ হাজার ৭৯০, সদর উপজেলায় ৩৩ হাজার ৩৭০, আগৈলঝাড়ায় নয় হাজার ৪৭০, বাবুগঞ্জে আট হাজার ৮৯০, বাকেরগঞ্জে ১৯ হাজার ৮৮০, উজিরপুরে ১৪ হাজার ৮৮০, বানারীপাড়ায় নয় হাজার ৩৯০, মুলাদীতে ১১ হাজার ৭০, মেহেন্দিগঞ্জে ১৯ হাজার ৭০, গৌরনদীতে ১১ হাজার ৯৪০ এবং হিজলায় নয় হাজার ২৫০।