ঢাকা: গাজীপুরের কাশিমপুর-১ নম্বর কারাগারে হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদ বিধি লঙ্ঘন করে এক নারীর সঙ্গে সময় কাটানোর ভিডিও গণমাধ্যমের হাতে কীভাবে গেলো, এ নিয়ে কারা অধিদপ্তর চিন্তিত। এটা বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।কারাগারের একটি সূত্রের দাবি, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এরকম তদন্ত কমিটি কারা অধিদপ্তরে আগে হয়েছে কিনা তাদের জানা নেই।বৃহস্পতিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কারা অধিদপ্তরের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কারাগার একটি সেনসিটিভ জায়গা। ভেতরের তথ্য বাইরে গেলো কীভাবে? এগুলো জানার জন্য একটা তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তদন্ত কমিটির সভাপতি যশোরের কারা উপমহাপরিদর্শক মো. ছগির মিয়া। অন্য সদস্যরা হলেন- কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার (চলতি দায়িত্ব) মো. গিয়াস উদ্দিন ও ফরিদপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার আল মাসুম।সন্ধ্যায় মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন জানান, কাশিমপুর কারাগারের ওই ঘটনার পর আমি সারাদেশের কারাগারগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সবাইকে সতর্ক অবস্থায় কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। এরকম ঘটনা ভবিষ্যতে আর যেন না ঘটে।কারা কর্মকর্তাদের কক্ষে কারাগারে থাকা হলমার্ক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদের নারীর সঙ্গে সময় কাটানো নিয়ে সংবাদ প্রচার হয়। এ ঘটনার তীব্র সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রথমে জেল সুপার রত্না রায়, জেলার নূর মোহাম্মদ, ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর মো. আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. খলিলুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়।বুধবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) তদন্ত কমিটি সুরক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে ৪৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা দেন। তাতে ১৮ কর্মকর্তা ও কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।