সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, নানা কারণে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। ভোমরা থেকে সাতক্ষীরা এবং নাভারণ, যশোর হয়ে ঝিনাইদহ মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করা হবে। এর মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলীয় অর্থনৈতিক করিডোর গড়ে তোলার কাজ হবে সহজ। এতে দুই কোটি মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে। জাতীয় অর্থনীতিতে আসবে নতুন গতি।
জাতীয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা আছে এ অঞ্চলের। এই প্রকল্প সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সহায়ক হবে। এ অঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য খামার থেকে হাটে, রাজধানী ঢাকা এমনকী প্রতিবেশী দেশগুলোতেও যেতে পারে। এভাবে এই প্রকল্প বাণিজ্য এবং ট্রানজিট ও করিডোরকে শক্তিশালী করবে।
প্রকল্পের আওতায় রুটের উভয়পাশে স্লো মুভিং ভেহিক্যাল ট্রাফিক (এসএমভিটি) লেন নির্মাণ করা হবে। সড়কের যেখানে যানজট বেশি হবে সেখানে নির্মাণ করা হবে ফ্লাইওভার। এছাড়া রেলওয়ে ওভারপাস, সেতু, কালভার্ট, পেডিসটেইন ওভারপাস, আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। শিল্পায়ন, নগরায়ণ ও মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।‘ওয়েস্টার্ন ইকনোমিক করিডোর অ্যান্ড রিজিওনাল এনহ্যান্সমেন্ট পিইজি-১’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।এ ঋণ সম্পর্কে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলটি অনেকগুলো কৃষি ও প্রাকৃতিক পণ্য সমৃদ্ধ। এছাড়া আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার হওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে এ অঞ্চলটির। আমাদের ঋণ প্রকল্পটি ওই অঞ্চলের জেলাগুলোর অর্থনীতিতে উদ্দীপনা, খামারগুলিকে বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। প্রকল্পের আওতাভুক্ত মহাসড়কের মাধ্যমে পশ্চিম অঞ্চলের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সংযুক্ত করবে। করিডোর বরাবর বাণিজ্য, ট্রানজিট ও পণ্য সরবরাহ বাড়িয়ে এই অঞ্চলের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সহায়ক হবে। ’বিশ্বব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংক দেশের পশ্চিমাঞ্চলে সড়ক ও ডিজিটাল সংযোগ উন্নত করতে বাংলাদেশকে সহায়তার অংশ হিসেবে এই ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে। প্রকল্পের আওতায় চারটি পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাজুড়ে যশোর-ঝিনাইদহ করিডোর ধরে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ উন্নত করতে ভূমিকা রাখবে। এ প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান ১১০ কিলোমিটার দুই-লেন মহাসড়ক-ভোমরা-সাতক্ষীরা-নাভারণ ও যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ককে চারলেনে উন্নীত করা হবে। এতে নিরাপদে সড়ক নেটয়ার্ক স্থাপন করা সম্ভব হবে। ‘কর্মসূচির প্রথম ধাপে যশোর এবং ঝিনাইদহের মহাসড়কের ৪৮ কিলোমিটার উন্নয়ন করা হবে। এছাড়া ৬শ কিলোমিটার গ্রামীণ সংযোগ সড়ক উন্নয়ন এবং ৩২টি শহরের বাজার বা গ্রোথ সেন্টার উন্নয়ন করা হবে। এটি স্থানীয় অর্থনীতিকে উৎসাহিত করবে। ’