আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থান ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’ এবং সেখানকার পরিস্থিতি ‘নিবিড়ভাবে’ পর্যবেক্ষণ করছে তারা। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মিয়ানমারের গণতন্ত্রে উত্তরণের বিষয়ে সব সময় সমর্থন জানিয়ে আসছে ভারত।
আমরা বিশ্বাস করি, আইন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অবশ্যই সমুন্নত রাখতে হবে। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ’ অন্যদিকে, মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা আশবাদী যে, দুই পক্ষ গঠনমূলক আলোচনা করবে। এক বিবৃতিতে পাকিস্তান বলে, ‘আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই নিজেদের সংবরণ করবে, আইনের শাসনকে সমুন্নত রাখবে, গঠনমূলকভাবে আলোচনা করবে, এবং শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাবে। ’ সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ত, ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি-সহ শাসকদলের শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে আটক করে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। গত নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তবে, এ ফলাফল নিয়ে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার এবং প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা চলতে থাকায় এ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে বলে জানায় বিবিসি।