সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় নারীদের সাহস রাখার আহ্বান

সাইবার অপরাধ মোকাবিলায় নারীদের সাহস রাখার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাইবার অপরাধের বেশির ভাগ ভুক্তভোগীই হয়ে থাকেন নারীরা। এমন অপরাধ মোকাবিলায় অথবা অপরাধের শিকার ভুক্তভোগী নারীদের বিচার প্রার্থনায় সাহস রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। সাহসী ভূমিকা রাখতে পারলেই আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচার সম্ভব বলেও মনে করেন তারা। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হওয়া এক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন দেশের তথ্যপ্রযুক্তি, আইনসহ সংশ্লিষ্ট খাতের সঙ্গে জড়িত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। শুক্রবারের ‘অ্যাডা লাভলেস সেলিব্রেশন ২০২১’ শীর্ষক এ ওয়েবিনারে আলোচ্য বিষয় ছিল ‘সাইবার নিরাপত্তা, নীতি ও আইনের প্রয়োগ’। ওয়েবিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, কাজ করতে চাই আবার সাহস থাকবে না এমনটা কাম্য না। নারীদের সাহস রাখতে হবে। আর কাজে সাহস থাকলে আসলেই কিছু করা সম্ভব। নারীদের জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার আরও সহজলভ্য করতে হবে। এমন তো না যে, ইন্টারনেটের আগে নারীদের জন্য কোনো সমস্যা ছিল না। তাহলে তথ্যপ্রযুক্তির সমস্যা তথ্যপ্রযুক্তি দিয়েই জয় করতে হবে। আমাদেরই এগুলো মোকাবিলা করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ মোকাবিলায় ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি (ডিএসএ) গঠনের কাজ প্রায় শেষ বলেও জানান হোসনে আরা। তিনি বলেন, কিছু কারিগরি বিষয় আছে যেগুলো এখনই আমি বলতে পারব না। শুধু বলছি এ ধরনের অপরাধ মোকাবিলার জন্য ডিএসএ’র গঠন প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। সারা দেশজুড়ে লোকবলের নিয়োগের বিষয়টিও প্রায় শেষ পর্যায়ে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের হাইটেক পার্কে তাদের অফিস দিয়েছি আমরা। রাজধানীর বাইরে সাইবার অপরাধের শিকার হওয়া নারীদের জন্য বিচার প্রার্থনাও বেশ শক্ত একটি কাজ বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ বিভাগের ঊর্ধ্বতন সহকারী কমিশনার সৈয়দ নাসিরুল্লাহ। তিনি বলেন, রাজধানীর মামলাগুলো দেখলে দেখি যে, এখানকার নারীরাই বেশি এমন অপরাধের শিকার। কিন্তু রাজধানীর বাইরে ভুক্তভোগী নারীর হার কম। এর কারণ এটা না যে, সেখানে নারীরা অপরাধের শিকার হন না। এর কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম এটা যে, তারা আইনের কাছে অপেক্ষাকৃত কম বিচার চাইতে আসেন। মফস্বলের একজন নারীর জন্য থানায় গিয়ে মামলা নথিভুক্ত করতেও বেশ মানসিক শক্তির প্রয়োজন হয়। আবার তিনি চাইলে আদালতে গিয়ে বা নিজে বাসায় বা একটি নিরাপদ অবস্থানে থেকে উকিল নিয়োগের মাধ্যমেও আদালতে মামলা করতে পারেন না। কারণ সাইবার অপরাধের মামলা গ্রহণের ট্রাইব্যুনাল দেশে একটিই আর সেটি হচ্ছে ঢাকায়। তবে দেশজুড়ে সাইবার ট্রাইব্যুনাল বাড়ানোর জন্য বিচার বিভাগের সঙ্গে সভা করা হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। অন্যদিকে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার সময় গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হবে বলে জানান ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম। পাশাপাশি সাইবার অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীরা যেন অনলাইনে মামলা দায়ের করতে পারেন তার জন্য সরকারের সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি শাহীদ উল মুনির। বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনীর হাসান এ ওয়েবিনারে মডারেশন করেন।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

১৬৯ কর্মচারিকে চাকরিচ্যুত করলো রাসিক

মেহেন্দিগঞ্জ পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের কর্মসূচি-৩ পরকল্পের চেক বিতরণ