ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি সংখ্যক দক্ষ কর্মীর সৌদি আরবে কর্মসংস্থানের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসসা ইউসেফ এসসা আল দুহাইলান সৌজন্য সাক্ষাতের সময় স্পিকার এ অনুরোধ জানান।জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সাক্ষাৎকালে তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, কোভিডকালীন উদ্ভূত বৈশ্বিক পরিস্থিতি, অভিবাসন ইস্যু, সংসদীয় সম্পর্কের উন্নয়ন, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করেন। স্পিকার বলেন, দু’দেশের সংসদ সদস্যদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সংসদীয় সম্পর্ক আরো জোরদার করা সম্ভব। দক্ষ কর্মী সৌদি আরবে পাঠাতে বাংলাদেশ যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি সংখ্যক দক্ষ কর্মী সৌদি আরবে কর্মসংস্থানের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান স্পিকার। এসময় মুজিববর্ষে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী সামনে রেখে রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে শুরা কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ জানান স্পিকার।ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, কোভিডকালীনও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দৈনন্দিন জীবন স্বাভাবিক রাখতে প্রণোদনা ঘোষণার মাধ্যমে সময়োপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একজন ব্যক্তিও যেন খাদ্যাভাবে মৃত্যুবরণ না করে সেজন্য সারা দেশে খাদ্যসামগ্রী যথাসময়ে বিতরণ করেছে সরকার। সবার জন্য করোনা ভ্যাকসিন নিশ্চিতকরণেও নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে কোভিড পরিস্থিতিতেও দেশে খাদ্যাভাব পরিলক্ষিত হয়নি।স্পিকার বলেন, অনেক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে ও তাদের প্রতি মানবিক ভূমিকা রেখে বিশ্বের বুকে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সৌদি আরবের সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।এসময় রাষ্ট্রদূত এসসা ইউসেফ এসসা আল দুহাইলান কোভিডকালীন সরকারের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।রাষ্ট্রদূত বলেন, একত্রে কাজ করার জন্য দু’দেশের মধ্যে সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ তৈরি করা প্রয়োজন। রাষ্ট্রদূত এসসা ইউসেফ এসসা আল দুহাইলান বাংলাদেশকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।