নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কালো টাকা সাদা করার মাধ্যমে ৭৬৫০ জন ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার কাছ থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৯৬২ কোটি টাকা। গতকাল সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা যায়, কালো টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে ৭৬৫০ জন ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার কাছ থেকে সরকার মোট ৯৬২ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে। তবে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের রিটার্ন দেওয়ার হার গত বছরের তুলনায় বেড়েছে এ অর্থবছরে। ১ জুলাই থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন দিয়েছেন ২১ লাখ ৫১ হাজার ৩২৬ করদাতা। ২০১৯ সালের একই সময়ে এটি ছিল ১৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৭৭ জন। আগের বছরের চেয়ে এই সময়ের মধ্যে করদাতা বেড়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৫৪৯ জন। এনবিআরে জমা দেওয়া রিটার্ন থেকে জানা যায়, নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, ফ্ল্যাট ও জমি কিনে কালো টাকা সাদা করেছেন ৭ হাজার ৪৪৫ জন। সরকার এই খাত থেকে কর পেয়েছে ৯৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করেছেন ২০৫ জন। তাদের কাছ থেকে সরকার কর পেয়েছে ২২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এর আগে মহামারির কারণে দেশের অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে আয়কর আদায়ে যে প্রভাব পড়বে, তা কাটিয়ে উঠতে আয়কর দেওয়ার মাধ্যমে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেয় সরকার। নতুন বিধানে করদাতারা তাদের আয়কর রিটার্নে অপ্রদর্শিত আয়ের নগদ অর্থ, ব্যাংক আমানত, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা অন্য কোনো যেকোনো সম্পদের ওপর ১০ শতাংশ কর দেওয়ার মাধ্যমে বৈধ করতে পারবে। ব্যক্তি পর্যায়ে প্রদর্শিত আয়ের ওপর সর্বোচ্চ প্রদেয় কর ২৫ শতাংশ। সেখানে অপ্রদর্শিত আয়ের ওপর এই হার মাত্র ১০ শতাংশ। এনবিআর কালো টাকা সাদা করার এই সুযোগ দিচ্ছে এক বছরের জন্য। ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কালো টাকার উৎস না জানিয়েই সাদা করা যাবে।