শাবিপ্রবি (সিলেট): স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে করোনায় আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। এ সময় আবাসিক হল বন্ধ থাকবে।
এতে আবাসন সংকট, দুই সেমিস্টারের পরীক্ষার ফি একসঙ্গে পরিশোধসহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ ধরনের সমস্যা সমাধানে তাদের সুবিধার্থে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে শাবিপ্রবি প্রশাসন।মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের সুবিধা বিবেচনায় প্রশাসনের পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।আবাসন সংকটের ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, সরকারি নির্দেশনা মতে আমরা হল খুলে দিতে পারছি না। তবে মেয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে প্রত্যেক বিভাগীয় প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছি। যদি কোন বিভাগ এ দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে তখন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ফি মওকুফের ক্ষেত্রে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের টিউশন, পরিবহন ফি ও হলের আবাসন ফি পরিপূর্ণভাবে মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোন ধরনের ফি না দিয়েই বর্তমানে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বসতে পারবে এবং অন্যান্য ফি গুলো নিজেদের সুবিধা মতো সময়ে দিতে পারবে। সেক্ষেত্রে কোন জরিমানা দিতে হবে না।এদিকে, রিভিউ ক্লাসের ব্যাপারে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পহেলা জানুয়ারি থেকে আমরা সব বিভাগকে প্রয়োজনের ভিত্তিতে রিভিউ ক্লাস নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।এছাড়া শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি সংখ্যা, পরীক্ষায় নম্বর দেওয়া এবং প্রতিটি পরীক্ষার আগে যেন উপযুক্ত গ্যাপ দেওয়া হয় সে ব্যাপারে মানবিক হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিভাগীয় প্রধানদের নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে পরামর্শের ভিত্তিতে এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সময় কমিয়ে দিয়েছি। দুই ঘণ্টার পরীক্ষায় যতগুলা প্রশ্নের উত্তর করা যাবে সেই অনুসারেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে। শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে বাড়তি চাপ না নিয়ে সুন্দরভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান করছি। এছাড়া অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষা শেষে পরবর্তী বর্ষের পরীক্ষাগুলো পর্যায়ক্রমে নেওয়া হবে। পরীক্ষার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো চলবে বলেও জানান উপাচার্য।তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করে। করোনার সময় আমরা অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সাহায্য দিয়েছি। পাশাপাশি অনলাইন ক্লাস করার জন্য মোবাইল ডাটা ও মোবাইল কেনার জন্য ঋণ সুবিধাও দিয়েছি। আমরা যেভাবে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করি তা দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় চিন্তা করে না। পাশাপাশি তিনি শাবিপ্রবির শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার সহযোগিতা কামনা করেন।