নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাবে, যা প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। যারা ১৮ বছরের নিচে তারা কিন্তু ভ্যাকসিন গ্রহণ করবে না, যা প্রায় ৪০ শতাংশ। পৃথিবীর কোথাও তাদের ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে না এবং তাদের ট্রায়ালও হয়নি। তিনি বলেন, এক কোটি লোক দেশের বাইরে থাকে। তাতে আমাদের হিসাবে আছে, প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের এই মুহূর্তে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে না। যে ভ্যাকসিন দেয়া হবে সেটাও প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। কাজেই গ্যাপ (জনসংখ্যা বাকি) বেশি থাকছে না, যেটুকু থাকছে সেটুকুও আমরা পর্যায়ক্রমে পূরণ করে ফেলব। গতকাল রোববার দুপুরে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে ভ্যাকসিন ল্যাব পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এখানে দুটি ল্যাব দেখেছি। একটি ওষুধের আরেকটি ভ্যাকসিনের। আমাদের যে ওষুধের ল্যাব আছে সেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন দিয়েছে। সেই অনুমোদনের ফলে আমাদের ল্যাব আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল। এখানে আমাদের যত ওষুধ কোম্পানি আছে সে ওষুধের মান প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করা হয় এবং সে মান বজায় রাখার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তা করা হয়। আগামীতে এই ল্যাবরেটরিতে কোভিড ভ্যাকসিনও পরীক্ষা করা হবে। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানন, আগামী জুনের মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউট ও গ্যাভি কোভেক্স থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, নভেম্বরে সেরাম ইনস্টিটিউটটের সঙ্গে তিন কোটি ভ্যাকসিনের চুক্তি হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিমাসে আসবে ৫০ লাখ, যা দিয়ে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। তিন কোটি ভ্যাকসিন দিতে ছয় মাস দরকার হবে। আশা করছি, মে ও জুনের মধ্যে কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেবে মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষকে। তাতে করে মোট মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ভ্যাকসিন বাংলাদেশ জুনের ভেতরে পেয়ে যাচ্ছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে পারচেজ অ্যগ্রিমেন্ট হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করছি জানুয়ারির শেষের দিকে অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে। যখনই অ্যাস্ট্রাজেনেকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাবে তখনই বাংলাদেশ সে ভ্যাকসিন পাবে। একইসঙ্গে দেশের ভেতরে ভ্যাকসিন সম্পর্কিত সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিবহন ব্যবস্থা, স্টোরেজ সিস্টেম, কোল্ড চেইন মেইনটেন্যান্সের জন্য কিছু বাড়তি কোল্ড বক্সের দরকার ছিল, সেটারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমানসহ ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।