পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।সাক্ষাতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতে তুরস্ককে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে আরও বেশি তার্কিশ বিনিয়োগ আহ্বান করেন প্রধানমন্ত্রী।বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে বিশাল আঞ্চলিক বাজার এবং অভ্যন্তরীণ বাজারের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কেন্দ্রে অবস্থানের কারণে বিশাল মার্কেট রয়েছে। এখানে বিনিয়োগ করলে উভয়ই লাভবান হবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে তুরস্কের আগ্রহের কথা জানিয়ে সফররতদেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসুগ্লু বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মূল্য দেয়। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য যা কিছু করার তার দেশ সেটা করবে।জ্বালানি থেকে পর্যটন সব সেক্টরেই তুরস্ক বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে বলে জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।লেবাননের রাজধানী বৈরুত বন্দরের ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বিজয়’ মেরামত করে দেওয়ায় তুরস্ককে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী।তার্কিশ প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাস মার্চে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বাংলাদেশ সফর করতে পারেন বলে জানান সফররত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।তার্কিশ প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানোয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসুগ্লু।বাংলাদেশের অগ্রগতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন তার্কিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।একই সঙ্গে তিনি করোনা মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করেন তার্কিশ মন্ত্রী।সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশে নিযুক্ত তার্কিশ রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান।